নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ২টি ইউনিয়ন সহ দুর্গাপুর পৌর শহরে বসবাসকারীদের করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে জ¦র ও সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। রোগীরা উপজেলা সরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিক গুলোতে ভিড় করছেন। রোববার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
এ নিয়ে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঐ এলাকার সাধারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ এবং নানা ভাবে শ্রমের কাজ করতে যায়। দেশের বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপট এবং সীমান্তের ওপারে ভারতে মেঘালয় রাজ্যে ব্যাপক করোনা আক্রান্তের রোগি থাকায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। মৃত্যুর ঝুকি নিয়েই গোপালপুর, ভবানীপুর, দাহাপাড়া, ত্রিনালী, লক্ষিপুর গ্রামের আদিবাসীরা কাজ করার জন্য বেরোতে হয় প্রতিনিয়ত।
সীমান্তবর্তী ভবানীপুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ আবু আলম বলেন, সীমান্তে অবৈধ চলাচলের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকগণ বা কোন প্রকার চোরা-কারবারি আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসা-যাওয়ার কোন সুযোগ নাই।
দুর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. তানজিরুল ইসলাম বলেন, দৈনিক শতেক মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসছেন জ¦র,সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে। আমাদের মেডিকেল অফিসারগণ ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু রেখেছেন। আগতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এলাকায় নতুন করে প্রায় প্রতিদিনই করোনা পজেটিভ দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে একাবাসী। ইতোমধ্যে আমাদের দু-জন স্টাফ সেবা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও সরকারি নির্দেশনা মেনে যথাসাধ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, অত্র উপজেলায় নতুন করে করোনা প্রকোপ দেখা দেয়ায় আজ থেকে সচেতনতামুলক মাইকিং ও মাক্স বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে শহরের সকল দোকানপাট সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এবং সীমান্তবর্তী সকল দোকান ও চলাচল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছে, বিধিনিষেধ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।