পিরোজপুরের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান আতিয়ারকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রথম ধাপের আগামী ২১ জুন সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। রোববার (২০জুন) সংগঠনের জেলা সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও সাধারন সম্পাদক এ্যাড. এমএ হাকিম হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, চলতি প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু। তিনি গত ১৯৯২ সালে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর তিনি একাধীকবার ওই ইউপির চেয়ারম্যান পদে সহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন। আর ওই ইউনিয়নের আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান আতিয়ার উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মাস্টার দলিল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র। তিনি গত ইউপি নির্বাচনেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করায় তখন তাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্তকরা হয়েছিলো। এ ছাড়া একই দিন সংগঠনের সংগঠনের উপজেলা সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাধারন সম্পাদকের কাছে জেলা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংগঠনের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারনা করা নেতাদের তালিকা তৈরীর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসকে দলীয় পদ থেকে ১৫দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত কার হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাজিরপুর উপজেলা আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ন পদে থাকা একাধিক নেতারা জানান, চলতি ইউপি নির্বাচনে সারা দেশে বিএনপি’র (ধানের শীষ) অংশগ্রহণ না করায় তাদের কোন প্রার্থী নাই। আর এতে সংগঠনের বিভিন্ন নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করছেন। আর জেলার মঠবাড়িয়া সহ বিভিন্ন উপজেলার ইউপি নির্বাচনে দলের গুরুত্বপূর্ন পদে থাকা নেতারা স্বতন্ত্র / বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। সংগঠনের জেলা কিমিটি নাজিরপুরের প্রতি বিদ্বেষ বশবর্তী হয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নিশ্চিত বিজয়ীদের হয়রানী করতে এ অব্যহতি চিঠি দিচ্ছেন। তারা আরো জানান, এর আগে গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও তখন রহস্যজনক কারণে কারো বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেন নি জেলা কমিটি।