চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের দক্ষিণ বারশত গ্রামের ব্যবসায়ী প্রণব কান্তি নাথ গত ২২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৩০ মে দুপুরে চট্টগ্রাম শহরে আসার জন্য বের হয়ে আর তিনি বাড়ি ফিরেননি। বন্ধ রয়েছে তার মোবাইলটিও। গত ২ জুন আনোয়ারা থানায় ওই বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন স্ত্রী সঞ্জু রাণী দেবী। কিন্তু পুলিশ এখনো সন্ধান দিতে পারেননি নিখোঁজ চার কন্যা সন্তানের জনক প্রণব কান্তি নাথের। বাবাকে ফিরে পাওয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন প্রণবের চার শিশু সন্তান। এরমধ্যে সপ্তম শ্রেণি সানি, ওয়ানে এ্যানি ও শিশু শ্রেণিতে পড়-য়া পূর্ণিমা এবং তিন বছরের পুষ্পিতা এখন তাদের বাবার আশায় প্রতিটি প্রহর গুণছেন। প্রণব কান্তি নাথ নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ধরণা দিয়ে ব্যর্থ হয় অসহায় পরিবারটি।
গত শুক্রবার সকালে প্রণব কান্তি নামের সন্ধানের দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবেও এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। কিন্তু এখনো তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে প্রণবের স্ত্রী সঞ্জু রানী দেবী সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী প্রণব কান্তি নাথ আনোয়ারার বারশত কালিবাড়ি বাজারে একটি মুদির দোকান পরিচালনা করেন। গত ৩০ মে দুপুর ২টায় তার পরিচিত সিএনজি অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের গাড়িতে করে আনোয়ারা উপজেলা সদরে যান। ওই দিন রাত ৮ টায় আনোয়ারা চাতুরী চৌমুহনী বাজারের ওয়ান মাবিয়া সিটি সেন্টারের সামনে সিএনজি চালককে টাকা পরিশোধ করে চট্টগ্রাম শহরে পণ্য কিনতে যাবেন বলে তিনি মোবাইলে জানান। এরপর তার বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় সন্দেহ হলে মোবাইলে কল করি। এ সময় মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর অনেক সন্ধান করেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এই ঘটনায় গত ২ জুন আনোয়ারা থানায় ডায়েরি করেন সঞ্জু রাণী। সঞ্জু রাণী দেবী আরো জানান, ২২ দিন হয়ে গেল তার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি চার শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। চিন্তায় নাওয়া খাওয়া বন্ধ। পুলিশের ওপর আর আস্থা রাখতে পারছি না। আমি আমার স্বামীকে যেভাবে হোক ফেরত চাই। এ সময় পাশে বসে হাউমাউ করে কাঁদছিল প্রণব কান্তি নাথের সপ্তম শ্রেণি পড়-য়া মেয়ে সানি। সানি বলেন, আমরা চার বোন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বাবার সন্ধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ওই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। প্রণব কান্তি নাথের সন্ধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।