জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ বলেছেন, বাউফলে তৃণমূল আওয়ামী লীগ মনোনিত ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৮টিতে নৌকার প্রার্থীর বিজয় মূলত: তৃণমূল আওয়ামী লীগেরই বিজয়। প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে অভ্যন্তরীণ মনোমালিন্য, শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী ও কালো টাকার প্রভাব উপেক্ষা করে গ্রাম পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত নৌকার জন্য কাজ করে সাধারন মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। একারণেই সাধারন মানুষ বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসনিার উন্নয়নের প্রতিক হিসেবে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার ৪২ বছরের রাজনীতিতে কখনো আপস করিনি। প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিলেও আমি তৃণমূলের কর্মীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে অনঢ় ছিলাম। কারণ আমার অভিজ্ঞতায় বলে, তৃনমূল হচ্ছে একটি দলের শক্তি। আমি যখনই বাউফলে অবস্থান করি তখনই বাউফলের ১৫টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাধারন মানুষের খোঁজ-খবর নেই। তাদের সুখদু:খের কথা শুনে কিছু করার চেষ্টা করি। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। এটাই রাজনীতি। আমার এবং দলের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে ভবিষ্যতেও হবে। বাউফলের ৮টি ইউনিয়নের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবেসে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম. ফিরোজ এমপি এসব কথা বলেছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাউফলের ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে মামলা জটিলাতার কারণে দীর্ঘদিন পর্যন্ত নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। বাকি ১১ টির মধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রথম পর্যায়ে ৯টিতে নির্বাচন করার তফশিল ঘোষণা করেন। এরমধ্যে কালাইয়া এবং কালিশুরী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী (নৌকা) থাকায় গত ১১ এপ্রিল তারা নির্বাচিত হয়ে যান। এরপর করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর ২১ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কেশবপুর ইউনিয়নের সালেহ্ উদ্দিন পিকু, ধুলিয়া ইউনিয়নের মু. হুমায়ন কবির, কনকদিয়া ইউনিয়নের মো. শাহীন হাওলাদার, বগা ইউনিয়নের মো.মাহমুদ হাসান, আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মো. মনজুর আলম হাওলাদার এবং কাছিপাড়া ইউনিয়নে মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার নির্বাচিত হন। এনিয়ে মোট ৮ জন নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হলেন। অপরদিকে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক (বহিস্কৃত) এনামুল হক আলকাচ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।