অবশেষে কলেজছাত্রী ইশরাত জাহান মিমের লাশ মারা যাবার ১৫ দিন পর আদালতের নির্দ্দেশে বুধবার কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মালিহা খানমের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ উত্তোলন করেছে। এ সময় মিমের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
নগরীর পশুরাম থানার ওসি তদন্ত আবু মুসা সরকার লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও নিহত কলেজছাত্রী মিমের স্বজনরা জানিয়েছেন গত ৭ জুন তারিখে কলেজছাত্রী ইশরাত জাহান মিমকে প্রতিবেশী বান্ধবী আইভি ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার কোন সন্ধান মেলেনি। পরের দিন ৮ জুন তারিখে বাড়ির অদুরে পরিত্যাক্ত একটি পুকুর থেকে মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের মরদেহ ময়না তদন্ত না করেই দাফন করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ মিমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পশুরাম থানা পুলিশ কোন মামলা নেয়নি বলে নিহত মিমের মা নার্গিস বেগম অভিযোগ করেন। রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে নিহত মিমের মা নার্গিস বেগম। আদালত লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার আদেশ দেন। আদালতের আদেশে বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে নিহত কলেজছাত্রী মিমের লাশ উত্তোলন করে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মিমের বান্ধবী আইভি তার ভাই মুন্না ও তার বন্ধু আল আমিন টাইগারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আলতাফ হোসেন বলেছেন ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পরেই হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া হবে। তবে স্বজনরা দাবি করেছেন মিমকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।