বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের চাপ ও রোগ যন্ত্রণা সইতে না পেরে শামীম হোসেন (২৫) এবং হোসেন আলী (৬০) নামে দুই ব্যক্তি ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার তাদের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত শামীম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার আটুয়া মহল্লার জামাল উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে এবং হোসেন আলী নগর ইউনিয়নের তালশো গ্রামের মৃত লারু প্রামাণিকের ছেলে।
স্বজনদের বরাতে বনপাড়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল হোসেন জানান, ছয় মাস আগে শামীম পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদ পরিশোধের শর্তে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। কিন্তু তিনি ঠিকমত সুদ দিতে না পারায় স্ত্রী-সন্তানসহ পালিয়ে ঢাকা চলে যান। লকডাউনের কারণে কাজ না থাকায় সম্প্রতি বাড়িতে ফিরে এলে মহাজন সুদসহ তাকে মোট ৭০ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন। টাকা দেয়ার সামর্থ্য না থাকলেও মহাজনের উপর্যুপরি চাপে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অপরদিকে, হোসেন আলী বেশ কিছু যাবৎ হার্ট ও পেটের পীড়াসহ নানা রোগে ভূগছিলেন। চিকিৎসা করেও কোন ফল না পাওয়ায় মনের ক্ষোভে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে স্বজনরা বুঝতে পেরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রহিম জানান, নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব ঘটনায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।