কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়নের কাজী জোড়পুকুরিয়া ভূঁইয়াবাড়ী থেকে রইশার পুকুরের পাড়ের গার্ড ওয়াল গুলো বিভিন্ন সময়ে সরকারী বরাদ্ধ দিয়ে করা হয়েছে। সবশেষ কাজী জোড়পুকুরিয়া আব্দুল লতিফের বাড়ী সংলগ্ন পাকা রাস্তা থেকে দক্ষিণ দিকে গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসইকরণের লক্ষে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) প্রকল্পের আওতায় ব্রীক সলিংয়ের সাথে গত এক বছর পূর্বে ওই সড়কের পাশে কয়েকটি গার্ড ওয়াল নির্মাণ করে হালিমা এন্টার প্রাইজ নামক ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১ সপ্তাহ পূর্বে ওই গার্ড ওয়াল গুলোর রইশার পুকুরের পূর্ব পাড়ের গার্ড ওয়ালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মজুমদারের নাম সম্বলিত নাম ফলক রাতের আধাঁরে কে বা কাহারা লাগিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেরিয়া ইউনিয়নের কাজী জোড়পুকুরিয়া ভূঁইয়া বাড়ী থেকে একটি কাঁচা সড়ক গ্রামের দক্ষিণ দিকে চলে যায়। ওই সড়কের ক্বারী বাড়ীর পুকুরের গার্ড ওয়াল গুলো অনেক পূর্বে করা হয়েছে। একই সড়কের আব্দুল লতিফের বাড়ীর দক্ষিণ পাশে ও রইশার পুকুরের পূর্বপাড়ের গার্ড ওয়াল দু’টি ওই রাস্তার ব্রীক সলিংয়ের সাথে গত ১ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ পূর্বে রইশার পুকুর পাড়ের রাস্তার পূর্ব পাশের গার্ড ওয়ালটিতে কে বা কাহারা একটি নাম ফলক লাগিয়ে দিয়ে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। নাম ফলকটিতে লেখা আছে কাজী জোড়পুকুরিয়া ভূঁইয়া বাড়ী থেকে রইশার পুকুর পর্যন্ত রাস্তার পাশের গার্ড ওয়াল নির্মাণ উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবসর প্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল আবু তাহের ও পেরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মজুমদার। এমন আজগুবি নাম ফলক দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রইশার পুকুর সংলগ্ন বাড়ীর বাসিন্দা মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন আগে পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হুমায়ুন কবির মজুমদার চেয়ারম্যানের এক লোক এসে এ নাম ফলকটি লাগিয়ে দিয়ে যায়।
স্থানীয় রমজান আলী বলেন, এ সড়কের ইটের সলিং ও গার্ড ওয়াল নির্মাণ করেন উপজেলার হরিপুর গ্রামের খলিলুর রহমান সোহাগ। এখন এ গার্ড ওয়াল গুলোতে হুমায়ুন কবির মজুমদার চেয়ারম্যান নাম ফলক লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
পেরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, রইশার পুকুরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১০০ মিটার গার্ড ওয়াল বরাদ্ধ পাই, আমি জনস্বার্থে ১৩০ মিটার গার্ড ওয়াল গত ২ বছর পূর্বে করে দিয়েছি। এখন ফাইনাল বিল নেয়ার জন্য নাম ফলক দেয়া প্রয়োজন হয়, কিন্তু পুকুরের বিতরের গার্ড ওয়াল পানির নিচে থাকায় রাস্তার পূর্ব পাশের অন্য প্রকল্পের গার্ড ওয়ালে নাম ফলকটি লাগিয়েছি।