নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বর ভুল করে এন্ট্রি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে উপজেলার সহস্রাধিক বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীর ৯ মাসের ভাতার টাকা উধাও হয়েছে। নগদ একাউন্টের মোবাইল নম্বর সংশোধন করতে অসংখ্য ভাতাভোগী প্রতিদিন সমাজসেবা অফিসের সামনে ভিড় করছে।
জানা য়ায়, প্রতি মাসে প্রতিবন্ধী ৭৫০ টাকা, বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগীগণ ৫০০ টাকা করে পায়। উপজেলায় মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ১৯০ জন। এর মধ্যে নগদ কোম্পানি ২ হাজার ২০০ জনের মোবাইল নম্বর ওয়েবসাইটে এন্ট্রি দিয়েছে। অবশিষ্ট ১৪ হাজার ৯৯০ জন ভাতাভোগীর মোবাইল নম্বর সমাজসেবা অফিসের লোকজন এন্ট্রি দেন।
সুবিধাভোগীরা যাতে ঘরে বসে তাদের ভাতার টাকা পায়। এজন্য সরকার চলতি বছরে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য জিটুপি সিষ্টেম চালু করেন। ব্যাংকের পরিবর্তে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে তাদের ভাতার টাকা দেন। সুবিধাভোগীদের নগদ একাউন্টের মোবাইল নম্বর কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এন্ট্রি করেন। চুক্তি অনুযায়ী নগদ কোম্পানি এন্ট্রিকৃত মোবাইল নম্বরে ভাতাভোগীদের টাকা পাঠায়।
কিন্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার উদাসীনতায় নগদ কোম্পানি ও তার অফিসের লোকজন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ওয়েবসাইটে ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বর ভুল করে এন্ট্রি দেয়। ফলে উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক সুবিধাভোগীর অক্টোবর হতে জুন ৯ মাসের ভাতার টাকা অন্যের মোবাইল নম্বরে চলে যায়। নগদ এজেন্টের কাছে গিয়ে টাকা না পাওয়ায় ভাতাভোগীরা সমাজসেবা অফিসে গেলে তাদের টাকা ভুল নম্বরে গেছে বলে জানতে পায়।
বিধবা ভাতাভোগী মাগুড়া দোলাপাড়া গ্রামের লালকি বেওয়া, বয়স্ক ভাতাভোগী নিতাই ৭নং ওয়ার্ডের মৃত নালু মামুদের পুত্র মকবুল হোসেন, পশ্চিম দলিরাম গ্রামের মৃত মোশা মামুদের ছেলে বাদল মিয়া ও সিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের মৃত ফেম উদ্দিনের ছেলে নূর ইসলাম জানান, অফিসে প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে টাকা না দিয়ে অন্য নম্বরে টাকা পাঠিয়েছে। কারা মোবাইল নম্বর ভুল করে দিয়েছে জানিনা। আমরা আমাদের ভাতার টাকা চাই।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, যে ভুল নম্বরগুলোতে টাকা গেছে কিন্তু বন্ধ রয়েছে ওই রবি নম্বরগুলো পেরোল দেয়া হয়েছে। সেই টাকা ফেরত আসবে, দিতে পারবো। আর যে নম্বরের টাকা উত্তোলন করেছে, সেটার কিছু করতে পারবো না। তিনি দায়িত্ব অবহেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। এর খেসারত কে দেবেন। কোন সদুত্তোর মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা বেগম জানান, টাকা না পাওয়া কয়েকজন ভাতাভোগী অফিসে এসেছিল। তাদের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।