কুড়িগ্রামের রাজারাহাটে বৃহস্পতিবার(২৪জুন) বিকালে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে কীটনাশক পান করে এক সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে নির্যাতনকারী স্বামী সহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৈলাশকুটি গ্রামের আঃ কাদের মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া(২৭) একই উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের সুখদেব খেয়ারপাড় গ্রামের আঃ রহিমের মেয়ে রুমি খাতুন(২২) কে ২বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জিবনে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায় সময় স্বামী সবুজ মিয়া ওই গৃহবধুকে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই গৃহবধু বেশ কয়েক বার তার নানীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নিরুপায় হয়ে পূণরায় সে স্বামীর বাড়িতে আসে। ঘটনার দিন ২৪জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সকলের অগোচরে ঘরে রাখা দানাদার কীটনাশক পান করে রুমি খাতুন। গুরত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাকে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পথিমধ্যে ওইদিন বিকালে রুমি খাতুনের মৃত্যু হয়। এ রিপোর্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লেখা পর্যন্ত রাজারহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করেছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে বলে ওসি জানান।