বিধিনিষেধ না মানার কারণে দিনাজপুরে আক্রান্তের সাথে বেড়েছে মৃত্যুও। শহরের মহল্লায় মহল্লায় কাচাঁ বাজারগুলোতে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। দিনাজপুর সদর উপজেলায় দ্বিতীয় দফার লকডাউন কার্যকর করতে ও কঠোরভাবে পালনে কাজ করছে জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলাচল সীমিত করতে শহরের বিভিন্ন সড়কে বাঁশ বেঁধে দিয়ে গতিরোধ করা হলেও দিনাজপুর শহরে স্বাভাবিকভাবে চলছে অটোরিক্সসহ বিভিন্ন যানবাহন। এর মধ্যে অনেক সময় ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, চারুবাবুর মোড়সহ কয়েক এলাকায় যানজটও দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, গত ২৪ঘন্টায় দিনাজপুর জেলায় ২৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৫জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯.০৯ শতাংশ। এই সময়ে হাকিমপুরে একজন এবং সদরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬০জন। তবে একই সময়ে আক্রান্ত ৩৯জন রোগী সুস্থ হয়েছে। বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত ১৭৩২জন।
অপরদিকে, দিনাজপুর সদরে চলমান লকডাউনে গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুর সদরে ৯৪জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৯জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত। যা শতকরা ৪১.৪৮ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় আরও ১জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সদরেই গত ৯দিনে মৃত্যু ১১জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯জন।
বর্তমানে হোম আইসোলেশনে ১৬৬১জন এবং হাসপাতালে উপসর্গযুক্ত সন্দেহভাজন রোগী ৪৪সহ করোনায় ভর্তি ১১৫জন রয়েছে। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার করোনা আক্রান্ত ৪৮৩জনসহ দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮৯৫জন, ৩৯জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ ৬০০৩জন। এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু ১৬০জন। বর্তমানে ১৬৬১জন হোম আইসোলেশনে এবং হাসপাতালে ভর্তি ১১৫জন রয়েছে। বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৭৩২জন এবং শনাক্তের হার ৩৯.০৯ শতাংশ।