শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে ছানাউর রহমান ছানা অফিসে গিয়ে আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) কে মারধরের চেষ্ঠা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে (২৪ জুন) উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানায়, গত বুধবার নালিতাবাড়ীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অর্ধ) সুমন চন্দ্র সরকারের নের্তৃত্বে টাস্কফোর্সের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তারাগঞ্জ মধ্য বাজারের ব্যাবসায়ী ছানাউর রহমান ছানার লাইন কাটতে যায়। তখন তাঁরা দেখতে পায় ছানাউর রহমানের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের কাজের জন্য অবৈধভাবে মিটারের আগে তারের সাথে হুক লাগিয়ে ওয়েল্ডিং মেশিন ও বিল্ডিংয়ের অন্যান্য কাজের জন্য বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে আসছে। টাস্কফোর্স সেই বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে হুক ও তার সহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করে অফিসে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ছানাউর রহমান তার সন্তানকে নিয়ে (২৪ জুন) বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আর ই কে চেয়ার থেকে উঠতে বলে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে একপর্যায়ে আরই কে মারতে যায়। তখন উপস্থিত অফিসের লাইনম্যান ছানাকে ফেরানোর চেষ্ঠা করে। এদিকে ছানাউর রহমানের নামে নালিতাবাড়ী বাজারে আরো দুটি মিটারে প্রায় ১৯ হাজারের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে। গত ১৫ জুন সেই লাইন অফিস থেকে লাইন দুটি বিচ্ছিন্ন করতে গেলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। ফলে সে লাইন তারা কাটতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ছানাউর রহমানের সাথে সাংবাদিকগন ফোনে বার বার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাননি এবং তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নালিতাবাড়ী আবাসিক প্রকৌশলী গোলজার হোসেন বলেন, টাস্কফোর্সের অভিযানে ছানাউর রহমানের অবৈধভাবে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে সকল মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ আদালতে মামলা করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আজ অফিসে এসে আমাকে চেয়ার থেকে উঠতে বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মারতে আসে। অফিস ষ্টাফ শামছুল না ফিরালে আমাকে মারতো। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে যে অভিযোগ, ডির্পাটমেন্টাল নিয়ম অনুযায়ী জড়িমানা তাকে দিতে হবে। না হলে আইনি ব্যবস্থায় যেতে হবে।