আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর জেলার ছোট-বড় পশু খামারিরা ৫০ হাজারে বেশি পশু প্রস্তুত করেছে। করোনার এই মহামারি সময়ে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে কোন পশু না আসলে খুশি হবে তারা। এখন শেষ মুহুর্তে খামারিরা তাদের পশুকে পরিচযার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ফরিদপুর জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরুল্লাহ মো. আহসান জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে এবারের জেলার প্রতিটি উপজেলায় আমরা অনলাইনে ও লাইভ ওয়েটে কোরবানির পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। খামারিরা তাতের গরুর ছবি, ওজন ও মূল্য নির্ধারন করে পেজে পোষ্ট দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় এবছর ৪৮হাজার ৩৪৯টি গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তবে এই জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৬ হাজার। আমরা জেলার চাহিদা পুরনের পরও ১৪হাজার অন্যত্র পাঠাতে পারব।
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা এলাকায় ‘তাহেরা এগ্রোর’ মালিক সৈয়দ আবরার নওশের বলেন, আমার খামারে ৫০ বড় আকারের গরু কোরবানির বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সারা বছর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে পশু গুলোকে উপযুক্ত করা হয়েছে, আশা করছি ভাল দামও পাবো। এরই মধ্যে ২৫টি গরু বিক্রিও হয়েগেছে বলে জানান এই খামারী।
একই এলাকার শাহ্ আলী বাগদাদী দুগ্ধ খামারের মালিক সৈয়দ জহুরুল আলম জানান, তার খামারে এবছর কোরবানীর জন্য ২০টি গরু প্রস্তুত করেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে লাইভ ওয়েটে গরু বিক্রির করার ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি এবছর কোরবানীতে ৩৫০টাকা কেজি দরে গরু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলার বিভিন্ন খামারের গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি খামারির তাদের পশুর যতœ নিচ্ছে। খাওয়ানো হচ্ছে কাঁচা ঘাষ, খড়, ভূষি, খৈলসহ নানা সামগ্রী।
এসময় খামারের কাজে নিয়োজিত কয়েক জন জানান, আমরা খামারে কাজ করি। নিয়মিত গরু গুলোকে খাবার দেওয়া, খামার পরিস্কার করা, গরুর গোসল দেওয়া থেকে সব কা করে থাকি। আর এখান থেকে যে বেতন পাই, সেই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।
ফরিদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার নয় উপজেলায় ছোট-বড় ১ হাজার খামারি রয়েছে। এর মধ্যে পদ্মার চারঞ্চলের বেশি খামারি। এই খামারিরা আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অর্ধলক্ষাধিক পশু প্রস্তুত করেছে। যা নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা যাবে।