প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে কচুয়া উপজেলার বাসীকে রক্ষা করার জন্য কচুয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন একযোগে সার্বক্ষনিক উপজেলার সর্বত্র বিচালন করছেন। গতকাল বিকালে কচুয়া বাজার সহ সাইনবোর্ড বাজার, বাধাল বাজার, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন বাজার ,মঘিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে ভাষা বাজারে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল ।
এ অভিযান শেষে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযানে নেমে আমরা দেখলাম প্রতিটি বাজারেই কঠোর ভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে । জেলা প্রশাসন কতৃক দেওয়া এই লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আমাদের কচুয়ার মানুষ শান্তিপূর্ন ভাবে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে লকডাউন পালন করছে, তারা কোথাও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখে নাই। পরে আমরা কোন দোকান খোলা না পেয়ে পথচারীদের মুখে মাক্স না পাওয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫টি মামলা করে ২হাজার ২শত টাকা জরিমানা আদায় করি। কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল। গতকাল তিনি জনসাধারন মাক্স না পড়ার অপরাধে ও মাক্স ব্যবহারে সচেতনতা সৃস্টির লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল কচুয়া বাজার সহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও দোকানের সামনে মাক্স বিতরন করেন। তিনি কচুয়া সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান।
কচুয়া থানা অফিসাসর্ ইন চার্জ মো: মনিরূল ইসলাম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে, কচুয়া থানা পুলিশ প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলার সকল উপজেলার ন্যায় কচুয়া উপজেলায় ও জেলা প্রশাসন কতৃক প্রদত্ত লকডাউন বাস্তবায়নে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে।এছাড়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলাম উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মাক্স ব্যবহারে সচেতনতা সৃস্টির লক্ষ্যে মাক্স বিতরন করেন ও এলাকা বাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মনি শংকর পাইক আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, করোনা রোগী আমাদের কচুয়ায় এখন বেড়েই চলছে। কচুয়ায় করোনা রোগী আমাদের চিকিৎসাধীন ১৬ জন হলেও কচুয়ায় রোগী আরও বেশী আছে একারনে সকলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবেন। তিনি আরও বলেন, আমি টিকা ২ ডোজ নেওয়ার পরও আবার আমার করোনা হলো।একারনে যাদের টিকা নেওয়া আছে তারাও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবেন, মখে মাক্স ব্যবহার করবেন। এছাড়া আমাদের আউটডোরের রোগীর প্রায় ৮০% রোগী এখন জ্বড়কাশি নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসছে। তিানিও কচুয়া বাসীকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান