রংপুরের পীরগাছায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেওয়ায় প্রথম স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিদেবু (আমডারা) গ্রামের রাজমিস্ত্রী রাজু মিয়ার বাড়ি থেকে ২ সন্তানের জননী ওই গ্রহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধু আছমা বেগম (২৮) ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রী রাজু মিয়ার স্ত্রী। স্বামী রাজু মিয়া দুই মাস আগে পরকীয়া করে তার বড় সমন্ধির স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ঘটনার পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধুর স্বজনরা জানান, বিগত ১৫ বছর পুর্বে পীরগাছা সদরের পশ্চিম সুখানপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল বাতেনের মেয়ে আছমা বেগমের সাথে বিয়ে হয় পাশর্^বর্তী তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিমদেবু (আমডারা) গ্রামের সুলতার মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রী রাজু মিয়ার। তাদের ঘরে দুইটি সন্তান রয়েছে। এদিকে রাজু মিয়া তার বড় সমন্ধি মমিনুল ইসলামের স্ত্রী এক সন্তানের জননী শিরিনা বেগম (৩২) এর সাথে পরকীয়া করে দুই মাস আগে বিয়ে করে। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী ও স্বামীর মাঝে কলহ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন আগে প্রথম স্ত্রী রাগ করে বাবা’র বাড়ি চলে গেলে গত বৃহস্পতিবার রাজু মিয়ার মা তবিরন নেছা তাকে নিয়ে আসে। গতকাল শনিবার সকালে আবারো স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়ার পর রাজু মিয়া স্ত্রী অসুস্থ্য বলে ডাক্তার আনার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন তার ঘরে প্রবেশ করে বিছানার উপর শোয়া অবস্থায় আছমা বেগমের মরদেহ দেখতে পান। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে। পরে বাড়ির অন্য লোকজন কৌশলে পালিয়ে যান। ঘটনার খবর পেয়ে পীরগাছা থানা পুলিশ নিহত আছমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। নিহতের বোন ইসমত আরা বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে মেনে না নেওয়ায় আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। ঘটনার পর রংপুরের সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে পীরাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আব্দুর রউফ মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।