চুক্তিনামার মেয়াদ দুই বছর রাখাসহ ২০১৯ সালের প্রাপ্ত বেতন থেকে ২৮.৪৩% বৃদ্ধি করে নিম্নতম বেতন ঘোষণার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশন।
শুক্রবার বেলা ২টায় শ্রীমঙ্গল শহরের গুহ রোডস্থ বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রেজা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কান্তি ভট্টাচার্য, কোষাধ্যক্ষ তালুকদার মো: আমিনুর রহমান, আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে যথাক্রমে সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, মো: কামাল আহমেদ, সুরঞ্জিত দাশ, বদরুল আলম, কংকন জ্যোতি ভট্টাচার্য, প্রদীপ যাদব, আবদুল ওয়াহিদ, ইমন দেবনাথ ও সুশীল বুনার্জী প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চুক্তিনামার মেয়াদ দুই বছর রাখাসহ ২০১৯ সালের প্রাপ্ত বেতন থেকে ২৮.৪৩% বৃদ্ধি করে নিম্নতম বেতন ঘোষণার দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রেজা বলেন, "নিম্নতম মজুরী বোর্ড চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরী সংক্রান্ত খসড়া গেজেট প্রকাশ করেছে গত ১৩ জুন । এই খসড়া গেজেটের শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থের পরিপন্থী ধারা গুলির বিরুদ্ধে আপত্তি এবং কিছু জায়গায় সুপারিশমালাসহ সংশোধিত আকারে প্রকাশ করার জন্য দাবি জানাই।
তিনি বলেন, ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনের রেজি: নং বি-২৫১। দীর্ঘ ৬৭ বছর যাবত অত্র সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সাথে দরকষাকষি করে ২ বৎসর পর পর কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে আসছে। যা অদ্যাবধি বলবৎ আছে। নিম্নতম মজুরী বোর্ড গঠনের পর অত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু মজুরী বোর্ড আমাদের আবেদন আমলে নেননি।
লিখিত বক্তব্যে মাহবুব রেজা আরো বলেন, সর্বশেষ বিগত ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশীয় চা সংসদ মাসিক বেতনধারী চা শ্রমিকদের বেতন ২০১৮ সালের প্রাপ্ত বেতন থেকে ২০১৯-২০২০ মেয়াদের জন্য ২৮.৪৩% বৃদ্ধি করা হয়। সেই আলোকে আমাদের ২০১৯ সালের বেতন কাঠামো থেকে বৃদ্ধি করার আবেদন করি। কিন্তু মজুরী বোর্ড তাও আমলে না নিয়ে চা সংসদের সাথে আমাদের সম্পাদিত ২০১৮-২০১৯ চুক্তিনামার হুবহু বেতন কাঠামো উল্লেখ করে গত ১৩ জুন গেজেট প্রকাশ করেছেন। এতে চা বাগান কর্মচারীরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ মালিকপক্ষের সাথে চুক্তিনামার মেয়াদ ছিল ২ বৎসর, ইহা পরিবর্তন করে চুক্তিনামার মেয়াদ ৩ বছর করা হয়েছে। আমরা মনে করি এই কারণে ভবিষ্যতে চা বাগান কর্মচারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
আমাদের আরজি মতে চুক্তিনামার মেয়াদ দুই বছর রাখা এবং ২০১৯ সালের প্রাপ্ত বেতন থেকে ২৮.৪৩% বৃদ্ধি করে নিম্নতম বেতন ঘোষণার দাবী জানাই।