নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মো. আনোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মারা যান। গুরুতর আহত হন নিহতের বাবা মকবুল হোসেন (৫৫) ও চাচাতো ভাই মনির হোসেন (২৪)। আহত উভয়েই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত আনোয়ার হোসেন বড়ইউন্দ গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। সে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স পড়–য়া শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যায়।
হামলার পরদিন ২৫ জুন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিপক্ষরা জুয়েল মিয়া, তাঁর বড় ভাই সোহেল মিয়া (২৩),মরম আলী (৪৬)ও তার ভাইদের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৬টি ঘরে রক্ষিত যাবতীয় মালামাল ভাংচুর করে বড়ইউন্দ গ্রামের মকবুল হোসেন লোকজন। এতে অন্তত: কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে বিকেলে সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়রা ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্থদের স্বজনরা ভাংচুরের বিবরণ দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের বড়ইউন্দ গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়িতে এ ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলার বিষয়ে মকবুল হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভাংচুরের বিষয় আমি কিছুই জানিনা।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ নুর-এ আলম বলেন, শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সাতজনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে। অজ্ঞাত নামীয় ৪/৫ আসামী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি ভাংচুর এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন এর পূর্বেই হয়তো হামলা ভাংচুর এর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আমাকে কেউ এখনো জানায়নি।