পরিবার-পরিজন ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে রংপুরে চলে এসেছে ভারতীয় কিশোরী প্রীতি পন্ডিত (১৭)। এ ঘটনায় শনিবার প্রীতিকে হেফাজতে নিয়ে তার প্রেমিক মিলন মিয়া (২৪) ও মিলনের বন্ধু হাবীবকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় রং মিস্ত্রির কাজ করতেন সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের ফাজিলখাঁ গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মিলন মিয়া (২৪) ও মিলনের বন্ধু ওই এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে হাবীবুর রহমান। ভারতে অবস্থানকালীন ওই এলাকার মন্টু পন্ডিতের মেয়ে প্রীতি নামে এক কিশোরী মিলনের প্রেমে পড়ে যায়। এরইমধ্যে ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে গত ২৪ জুন বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রীতি, মিলন ও হাবীব ফাজিলখাঁ গ্রামে বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের চোখ এড়াতে মিলন ও হাবীব তাদের পরিচিত মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর নুরপুর বালাপাড়ার লতিফুলের বাসায় প্রীতিকে নিয়ে অবস্থান করে। এরইমধ্যে প্রীতির পরিবারের সদস্যরা ভারতীয় থানায় বিষয়টি অবহিত করলে বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলোতে অবহিত করে ভারতীয় পুলিশ। সেই সাথে বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনেও প্রীতিকে উদ্ধারে সহযোগিতা চাওয়া হয়। রংপুর সদর উপজেলায় প্রীতি অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধারে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে তাগিদ দেয়া হয়। কোতোয়ালি থানা পুলিশ শনিবার বেলা আড়াইটায় মিঠাপুকুর থেকে প্রীতিকে উদ্ধারসহ মিলন ও হাবীবকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সদর কোতোয়ালি থানায় মিলন, হাবীব ও লতিফুলের নামে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন এসআই জাহাঙ্গীর আলম।
এ ব্যাপারে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোববার প্রীতি, মিলন ও হাবীবকে আদালতে হাজির করা হয়। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন ওই ভারতীয় কিশোরীকে সেফ হোমে এবং মিলন ও হাবীবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।