মণিরামপুর উপজেলার মোবারকপুরে সেচ আইন অমান্য করে অগভীর নলকূপ (সেচ) স্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আবুল হাসেম ও মকবুল মোড়লের ছেলে আবদুল হামিদ পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতির বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগে পৃথকভাবে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে।
আবুল হাসেম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মোবারকপুর মৌজায় তার পৈত্রিক ৩১৭১ দাগের জমির কাগজপত্র ও বোরিং দেখিয়ে একই গ্রামে আহাদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান অগভীর নলকূপ (সেচ) এর আবেদন করেছেন। যা সেচ আইন অমান্য করা হয়েছে। এ ছাড়া একই মৌজায় ৭৭০ ফুটের মধ্যে আবদুল হামিদের অগভীর নলকূপ রয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক হাফিজুর রহমানের আবেদন বাতিল করার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
আব্দুল হামিদ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ২০১৫ সাল থেকে মোবারকপুর মৌজায় অগভীর নলকূপ স্থাপন করে তিনি সেচ কাজ পরিচালনা করছেন। কিন্তু একই গ্রামের হাফিজুর রহমান সেচ আইন অমান্য করে অর্থাৎ ৮২০ ফুটের মধ্যে অন্যের জমিতে আরো একটি অগভীর নলকূপের আবেদন করেছেন। জরুরিভাবে হাফিজুর রহমানের আবেদনটি বাতিল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই হাবিবুর রহমান জানান, তারা সেচ আইন অনুযায়ী নিজের পৈত্রিক জমিতে অগভীর নলকূপের জন্য আবেদন করেছেন। আবদুল হামিদের নলকূপ থেকে তাদের নলকূপের স্থান প্রায় ৯২০ ফুট দূরে।
পৃথক অভিযোগের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা বিএডিসি (সেচ) অফিসারকে সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিএডিসির উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী অন্তু কুমার সাহা মোকারকপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শফিউর রহমানকে সাথে নিয়ে সম্প্রতি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আবুল হাসেম ও আবদুল হামিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। আবদুল হামিদের অগভীর নলকূপ থেকে আবেদনকৃত নলকূপের দুরত্ব ৯২০ ফুট। সেখানে সেচ আইন অমান্য করা হয়নি। আর জমির ব্যাপারে স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ হলেই বোঝা যাবে জমির প্রকৃত মালিক কে। তখন অন্যের জমিতে আবেদন প্রমাণিত হলে সেচ আইনে নলকূপ বরাদ্ধ হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।