দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নানা রকম নেশা দ্রব্যের অবাধ আমদানি ও নির্বিঘেœ কেনাবেচা চলছে।জনপদের যুবসমাজ এসব নেশার চক্রে পড়ে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। এলাকায় এদের দ্বারা আইন শৃংখলার অবনতি ঘটছে। অভিভাবকমহল উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ।আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থা অজ্ঞাত কারণে নিরব।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইখানা,দেয়াড়া কলোনী,দেয়াড়া পূর্বপাড়া,দেয়াড়া জ্ঞানীর মোড়ও দেয়াড়া খেয়াঘাট ও দেয়াড়া কোহিনুর মাঠ এলাকা,সেনহাটির ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা,চন্দনীমহল ভোগদিয়া,সুগন্ধী, ব্রহ্মগাতি, বারাকপুর, লাখোহাটী,পানিগাতী, দিঘলিয়া মহেশ্বরপুর, আড়ুয়া, নন্দনপ্রতাপ,মাধবপুর,গাজীরহাটসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রত্যন্তাঞ্চলে গাজা,ইয়াবা, মদসহ নানা ধরনের নেশা দ্রব্যের অবাধ আমদানি ও কেনা-বেচা চলছে পুলিশের চোখ এড়িয়ে এরা মুদী দোকানে মালা মালের ন্যায় হোম ডেলিভারিতে নেশা দ্রব্যের আমদানি ও বেচাকেনা চলছে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে। বাড়ি বাড়ি দোকানে দোকানে নেশা দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে নেশা বিক্রেতারা। এমনকি লোকজন এসে বাড়ি থেকে নিয়ে যাচ্ছে। কঠোর লকডাউনেও এসব নেশা দ্রব্যের আমদানি ও বেচাকেনা থামেনি। বরং বেড়েছে বহুগুণ। প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার গাজা আমদানি ও বেচাকেনা চলছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। এসব নেশা দ্রব্যের ক্রেতা-বিক্রেতাদের চক্রে পড়ে আজ যুব সমাজ গোটা পরিবার তথা সমাজের জন্য হুমকির মুখে। নানা ধরনের নেশায় আসক্ত এসব যুবকেরা পারিবারিক ও সামাজিক কোন অবরোধ মানছেনা।পরিবারে নানা বিশৃঙ্খলা, ভাংচুর ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী নানা কাজ করছে। যে কারণে অভিভাবকমহল একদিকে তাদের সন্তান নিয়ে উদ্বিগ্ন, অপর দিকে এসব নেশা দ্রব্যের আমদানি ও অবাধে কেনা-বেচা দেখে ক্ষুব্ধ। দিঘলিয়ার ফরমাইশখানা ও দেয়াড়া গ্রামের কয়েকজন নেশায় আসক্ত যুবকের মায়ের সাথে আলাপ করে জানা যায়,এসব নেশা দ্রব্য যারা আমদানি ও বেচাকেনা করছে তারা খুবই সংঘবদ্ধ ও এদের পিছনে পর্দার আড়ালে রয়েছে সমাজে অস্বীকৃত প্রভাবশালী মহল। এদের স্বার্থ বিরোধী ভূমিকায় যে যাবে, তারা তাদের জীবনহানী ঘটাতে পিছপা হয়না। ফরমাইশখানা মামুন হত্যা, সেনহাটি সজলের বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, সুগন্ধীর শান্ত নামক যুবককে মারধর করা, সেনহাটির শান্ত নামক যুবককে কুপিয়ে ক্ষুন জখম করা, দেয়াড়া কলোনীর খলিলুর রহমান নামক (আইন প্রয়োগকারী এক সংস্থার সোর্স) ব্যক্তিকে হত্যা সহ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েও এরা আইনের ফাঁক ফোঁকরে পার পেয়ে যাচ্ছে। জেলখানা থেকে ফিরে এসে পুনরায় সমাজে পূর্ণ প্রভাবে তাদের অবৈধ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যে সব কারণে সমাজে শান্তিপ্রিয় লোকজন এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়। এদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা নানা ভাবে তাদের উত্তাক্ত করে এলাকা ছাড়া করার বা দুর্বল করার চেষ্টা করে। এলাকায় পুলিশ এলেও সব নেশা দ্রব্য আমদানি ও বিক্রয়ের সাথে যারা জড়িত তারা ও তাদের পৃষ্ঠপোষক মিলে নানাজনকে সন্দেহের তীর ছুড়তে আরম্ভ করে। অনেকের কাছে উল্টে ক্ষতিপূরণ ও চাঁদা দাবী করে। এদের নানা অত্যাচারে ইতোমধ্যে অনেকে এলাকা ছাড়া হয়েছে। অপর একটা সূত্র থেকে জানা যায়, এসব নেশা দ্রব্যের আমদানি ও বেচাকেনার সাথে জড়িতদের ব্যাপারে পুলিশকে জানাতে গেলে পুলিশ বলে কারা, কোথায় এবং কোন সময় বহন করে এবংকেনাবেচা করে তাদের হাতেনাতে ধরিয়ে দিতে। ওই সূত্র এ প্রতিবেদককে দুঃখ করে জানান, আইন প্রয়োগকারী সকল মহলের প্রচার মাধ্যমে প্রচার শুধুই লোক দেখানো। পুলিশ কি জানেনা কারা কারা,কোথায় নেশা দ্রব্যের কেনাবেচা করছে এবং কারা এদের পৃষ্ঠপোষক? এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আহসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, যারা নেশা দ্রব্যের আমদানি ও বেচাকেনা করছে এবং যারা এদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তাদের ব্যাপারে দিঘলিয়া পুলিশ জিরো টলারেন্স। তাদের ধরার ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে এবং থাকবে। দিঘলিয়ার বিজ্ঞ মহলের অভিমত, সমাজ তথা সমাজের যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে নানা নেশা দ্রব্যের আমদানি ও বেচাকেনা প্রতিরোধে প্রচলিত আইনের পরিবর্তন ও কঠোর প্রয়োগ হওয়া জরুরী।