শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ঘোঘড়াকান্দি গ্রামে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার জন্য পাঁচ গ্রামের মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনয়িত। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার কৃষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সর্ব পেশার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি নির্মাণ না করায় এই বর্ষা মওসুমে মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁেছছে।
জানা গেছে, উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের পূর্ব ঘোঘড়াকান্দি চৌরাস্তা মোড় থেকে নয়াপাড়া হয়ে তারানীপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এ পথ দিয়ে পাঁচগাও, ডহরিয়াপাড়া, তারানীপুর, পূর্ব ঘোগড়াকান্দি, পশ্চিম ঘোগড়াকান্দি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি গলে কাঁদায় পরিণত হয়। পুরো বর্ষা মওসুম জুড়েই রাস্তাটি কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। ফলে এ রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে বেকায়দায় পড়তে হয়। এতে করে তাঁদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটিই বাড়ে। এ ছাড়া এলাকার শিক্ষার্থীরা এ পথ দিয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।
এলাকাবাসী জানান, জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এ রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে৷ ঘোঘড়াকান্দি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কাঁদা রাস্তার কারণে ধানসহ অন্যান্য ফসল হাটবাজারে বিক্রি করতে খুবই কষ্ট করতে হয়।
ঘোঘড়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে না।
কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আপাতত বাজেট নেই, বাজেট পেলে করে দিবো।