২০০৪ সালে স্থাপিত রাণীশংকৈল পৌরসভা চলছে ভাড়া বাড়িতে। বর্তমানে পৌরসভাকে পৌর কমপ্লেক্স ভবনে রুপান্তরিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি যা মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আলোয় আলোয় সুসজ্জিত হয়েছে রাণীশংকৈল পৌরসভা, রাতে সড়কে চলাচল করলে মনে হবে দিন (আসলে রাত) প্রায় ২ কোটি ১৩লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রধান প্রধান সড়কে স্থাপন করা হয়েছে এলইডি লাইট ও ফুটপাতে রাস্তা। ২০০৪ সালে স্থাপিত রাণীশংকৈল পৌরসভায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শুরু থেকেই সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে ৩ জন প্রশাসক পরিবর্তনের পর ২০১১ সালে নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়। তবে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে পৌরবাসি। ২০২১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ^ ভালবাসা দিবসে পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সকল নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করে নান্দনিক পৌরসভা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। এফএনএস প্রতিনিধি’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, এ পৌরসভাকে আধুনিকায়ন করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের টেকসই উন্নয়নের সহযোদ্ধা হিসাবে কাজ করে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই।
চলতি বছরে করোনা কালীন সময়ে অসহায় ও গরীবদের জন্য ৩০৮১ জনের মধ্যে ১৩লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫০ টাকা (ভিজিএফ) বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া কাউন্সিলরদের মাধ্যমে তালিকা নিয়ে পৌর এলাকায় শতভাগ বয়স্ক,বিধবাও প্রতিবন্ধি ভাতা চালু রয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাণীশংকৈলের মাটি, পানি ও আলো বাতাসে আমি বেড়ে উঠেছি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন এই শহরটি নাগরিক সুবিধা-সংবলিত স্বপ্নীল শহর হবে। পৌরসভার প্রধান প্রধান সমস্যাগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা,পরিচ্ছন্নতা,সুপেয় পানি সরবরাহ, মশক নিধন, পৌরভবন ও পৌরএলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা চলছে। তাছাড়া নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের শতভাগ চেষ্টায় আছি। ডিগ্রী কলেজের পিছনে ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরসিসি রাস্তা ঢালাই, সুগার মিল কোয়াটারের সামনে ৫লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাস্তা ও রংপুরিয়া মার্কেটে রাস্তা নির্মাণ কাজ চলমান। প্রতিটি ওয়ার্ডে এডিপি’র অর্থায়নে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং রাস্তা পাকাকরণের কাজ অচিরেই শুরু হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ চলছে পৌর এলাকায় কোন জলাবদ্ধতা থাকবে না। নগর বাসীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য নাগরিক সেবায় নিয়োজিত থাকতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিনের বার্তা কে মেয়র আরো বলেন, পৌর এলাকায় শ্রেণীভেদে গরীব, মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা নির্ধারণ করে নতুন তালিকা তৈরি করা হবে। কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।