জনকল্যাণমুখী খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ১৩১ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৬ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। টাউনহল মিলনায়তনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী। এ পৌরসভার ৬২ বছর বয়সে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে একজন নির্বাচিত প্রথম নারী মেয়র বাজেট ঘোষণা করলেন। সোমবার রাতে জাকজমকপূর্ণ এই বাজেট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলীম, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জননেতা মোখছেদুল মোমিন, নীলফামারী জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল গফুর সরকার, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. এসএম ওবায়দুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, শহীদ পরিবারের সন্তান ও আ.লীগ নেতা প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ প্রমুখ।
বাজেট ঘোষণার প্রারম্ভে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা, প্রয়াত মেয়র আখতার হোসেন বাদল, অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিকরুল হকসহ সকল শহীদদের। একই সঙ্গে তিনি মানবতার মা জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এদিনের ঘোষিত বাজেটকে জনমূখী বাজেট আখ্যা দিয়ে বক্তব্য বলেন, আ.লীগ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, পৌরসচিব সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আইয়ুব আলী, প্যানেল মেয়র-১ শাহীন হোসেন, প্যানেল মেয়র-২ আবুল কাশেম দুলু সরকার, প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা, পৌর কাউন্সিলর শাহীন আকতার, কাজী জাহানারা, মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না সরকার, জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, কাজী নজরুল ইসলাম রয়েল, মোহাম্মদ আলী, ফরহাদ হোসেন, কাজী মনোয়ার হোসেন হায়দার, এরশাদ হোসেন পাপ্পু, আবদুল খালেক সাবু, সৈয়দ মঞ্জুর রশিদ প্রমুখ। গোটা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করে কাউন্সিলর জোবায়দুর রহমান শাহীন।
বাজেটে পৌরসভার নিজস্ব খাত থেকে আয় দেখানো হয়েছে ২৬ কোটি ৪৯ লাখ ২২ হাজার ৯৭৯ টাকা। আর সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে সম্ভাব্য প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১০৫ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৭ টাকা। অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনকল্যাণমুলক কাজে বেশিরভাগ অর্থের ব্যয় দেখানো হয়েছে। জনকল্যাণমূলক কাজগুলো হলো শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বৃক্ষরোপন, জরুরি ত্রাণ, খেলাধুলা, পৌর বৃত্তি প্রদান ও গুণীজন সংবর্ধনা, গরীব-দুঃখীদের সাহায্য, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য, অসহায় ও গরীবদের চিকিৎসা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিষ্টি বিতরণ, সমিতি, ক্লাব ও প্রেসক্লাবে অনুদান।
অবকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে আধুনিক পৌর সুপার মার্কেট, শিশুপার্ক, সুইপার কলোনী, রাস্তা, ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণে দেখানো হয়েছে ব্যয়। সবমিলে আধুনিক নাগরিক সুযোগ সুবিধার শহর গড়তে মেয়র বাজেট অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এদিনের বাজেট অনুষ্ঠানে সুধীজন ছাড়াও স্থানীয় প্রিন্ট, অনলাইন পোর্টাল ও টিভি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।