প্রানঘাতী করোনা (কোভিট-১৯) সংক্রামন বেড়ে যাওয়ায় কচুয়ায় চলছে লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন,বর্তমান চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৭ জন। প্রানঘাতী করোনা (কোভিট-১৯) সংক্রামন বৃদ্ধির সময়ও দোকান্দার ও জনসাধারন মাক্স না পড়ায় এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানায় কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার ও সাইনবোর্ড বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১২ টি মামলা করে ৫ হাজার টাকা জরিমান আদায় করেন। তিনি গতকাল বিভিন্ন বাজারের জনসাধারন মাক্স না পড়ার অপরাধে ও মাক্স ব্যবহারে সচেতনতা সৃস্টির লক্ষ্যে ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানার টাকা আদায় করেন। গত ২৯ জুন লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে ও করোনা (কোভিট-১৯)এর রোগী পাওয়া যায় ৬ জনের নমুনা টেস্ট করে নতুন আরও ১ জন পজেটিভ ও ভাল হয়ে বাড়ি ফিরে যান ৩ জন রোগী। এ নিয়ে কচুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত (পজেটিভ) রোগীর সংখ্যা দাড়াল ১৭ জন। কচুয়া হাসপাতাল করোনা টেস্টের জন্য মোট ৫৬৬ টি নমুনা (সিম্পল) পরিক্ষা করে মোট করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া যায় ৮৭ জন। শুরু হওয়া এই লকডাউন ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। লকডাউনের ফলে দুরপাল্লার পরিবহন সহ প্রায় সব গনপরিহন বন্ধ রয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় লোকজনের যাতায়াত ও সীমিত করা হয়েছে। কচুয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম সহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কচুয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারন জনসাধারনের। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১২টি মামলা করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। জরুরী সেবা প্রদান কারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে উপজেলার সব ধরনের যাত্রীবাহী গনপরিবহন ও দোকানপাট প্রায়ই বন্ধ ছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সকালের দিকে কিছু মুদি দোকান এবং সীমিত আকারে উপজেলার কোথাও কোথাও দু“একটা চায়ের দোকান খোলা দেখা গেলেও তা বিকাল ৩টার মধ্যে তা বন্ধ করতে হচ্ছে। তবে বাজার গুলোতে জনসাধারনের উপস্থিতিও ছিল খুবই কম। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল কচুয়া বাজার সহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও দোকানের সামনে মাক্স বিতরন করেন ও মাইকিং করেন।