করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত প্রথম দিনে নওগাঁয় সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে জেলা শহরের লকডাউনের আওতাভুক্ত সকল দোকান পাট বন্ধ ছিল।
লকডাউন বাস্তবায়নে নওগাঁর ১১ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৫টি ও বিজিবির ৮টি টিম মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের ৩৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত লকডাউন বাস্তবায়নের কাজ করছে। জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহে কড়া পুলিশী প্রহরা পরিলক্ষিত হয়েছে। মোড়গুলোতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এরমধ্যেই বিভিন্ন অজুহাতে সকাল থেকে অযথা রাস্তাঘাটে মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকেই প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেল চালিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। দুই একটি রিকশা-ভ্যান, জরুরি পরিষেবার যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। যারা অযথা রাস্তাঘাটে চলাচল করছেন তাদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্ধ আছে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও বিপনী বিতান।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘সারাদেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সাতদিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে। জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নওগাঁয় এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী নওগাঁয় সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিধিনিষেধ চলাকালীন সময়ে নওগাঁয় অভ্যন্তরীণ সকল রুটে এবং আন্ত:জেলা বাস ও সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, পণ্য বহনকারী ট্রাক ও জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।’
তিনি সকলকে অন্তত:পক্ষে নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে লকডাউন মেনে চলার আহবান জানান। এ ছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। তবে অন্যান্য দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরা, চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম জানিয়েছেন, সারাদেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের নির্দেশে সারাদেশে লকডাউন চলছে। যে কোন ভাবেই হোক সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ বাহিনী সদা সচেষ্ট রয়েছে।