করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও সারাদিন কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন, সেনা ও পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুমন দে, নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া ভূঁইয়া, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দের নেতৃত্বে পুরো উপজেলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেখে। বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমনাণ আদালতের মাধ্যমেও দ- দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার সর্বত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট ব্যতিত অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, সরকারি বেসরকারি অফিস-আাদলত বন্ধ ছিল। এ সময় কোনো যান্ত্রিক যানবাহন কিংবা অহেতুক মানুষকে রাস্তায় চলাচল করতেও তেমন দেখা যায়নি। অযথা কোনো লোক বাইরে বের হলেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ধরপাকর করেছে। দূরপাল্লার কোনো বাস স্ট্যান্ড থেকে ছাড়েনি।
উপজেলার ঘারমোড়া ও কাশিপুর বাজারে হোটেলের ভেতরে বসিয়ে ক্রেতাদের খাওয়ানোর দায়ে দুটি হোটেলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলকারী ষাটটি যানবাহনের চাবি জব্দ করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দের ভ্রাম্যমাণ আদালত। লকডাউডাউন শেষে অষ্টম দিনে তাদের গাড়ির চাবি ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে কোনো ছাড় নয়। সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে সারাদিন মাঠে আমি নিয়ে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া ভূঁইয়া, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় উপজেলার ঘারমোড়া ও কাশিপুর বাজারে হোটেলের ভেতরে বসিয়ে ক্রেতাকে খাওয়ানোর দায়ে পাঁচ হাজার টাকা এবং যাত্রী নিয়ে চলাচলের জন্য ষাটটি যানবাহনের চাবি জব্দ করা হয়েছে। লকডাউন শেষে অষ্টম দিনে এদের চাবি ফেরত দেওয়া হবে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, সকাল ছয়টা থেকে পুলিশবাহিনী পুরো উপজেলায় লকডাউন কার্যকরে কাজ করে যাচ্ছে। অননুমোদিত কোনো দোকানপাট, যানবাহন ও মানুষকে রাস্তায় চরতে দিচ্ছি না।