বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নওগাঁ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় একজন ও বদলগাছী উপজেলায় দুইজন। এনিয়ে এই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৫ জনে।
নওগাঁ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পার্সন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোর্শেদ শুক্রবার দুপুরে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ৪৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলায় ২১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় আটজন, মান্দা উপজেলায় চারজন, পোরশা উপজেলায় চারজন, পতœীতলা উপজেলায় চারজন, সাপাহার উপজেলায় তিনজন, নিয়ামতপুর উপজেলায় দুজন, বদলগাছী উপজেলায় দুজন, রাণীনগর উপজেলায় দুজন, আত্রাই উপজেলায় একজন ও ধামইরহাট উপজেলায় একজন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন চার হাজার ছয়শ ৪৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯ জন। আর মোট সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৭৯ জন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন এক হাজার ২৮৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আরটিপিসিআর ল্যাবে ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জন শনাক্ত হয়। এ ছাড়া জেলা সদর বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জন শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৯০ ভাগ।
নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে করোনা সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষন করে জানা যায়, গতবছর ১৩ মে নওগাঁ সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত যে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে শুধুমাত্র গত জুন মাসেই মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের, যা মোট মৃত্যুর ৫১ ভাগেরও বেশী। জুনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন সদর উপজেলায় ১৪ জন। এরপরই রয়েছে নিয়ামতপুর উপজেলা। সেখানে মারা গেছেন ৯ জন। এ ছাড়া পতœীতলা উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন, মহাদেবপুর উপজেলায় চারজন, রাণীনগর উপজেলায় তিনজন, আত্রাই উপজেলায় দুজন, ধামইরহাট উপজেলায় দুজন, মান্দা উপজেলায় দুজন, বদলগাছিত উপজেলায় একজন, পোরশা উপজেলায় একজন ও সাপাহার উপজেলায় একজন মারা গেছেন।
এদিকে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে দ্বিতীয় দিনও মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি। জেলার ১১টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর পাঁচটি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) আটটি টিম মোতায়েন রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৪টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।