জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনেও রাস্তাঘাটে মানুষ বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। মোবাইল কোর্টে ১২ টি মামলায় ৫৩০০ টাকা জরিমানা নিশ্চিত করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
জানা গেছে, সরকার ঘোষিত এ লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, আনসার সদস্য, স্বেচ্ছাবসবী সংগঠনের টিম কাজ করছে। এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর টিম টহল দিচ্ছে। সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে আছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)।
লকডাউন না মানায় তৃতীয় দিনেও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি যৌক্তিক কারণ ও মাস্ক ছাড়া বাহিরে বের হওয়াতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী হক। ওই মোবাইল কোর্টে ১২ টি মামলায় ৫৩০০ টাকা জরিমানা নিশ্চিত করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার (৪ জুলাই) ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন প্রবেশপথে তল্লাশি করছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ভোর থেকে দৈনন্দিন কাজে মানুষ বের হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চলাচল কমে যায়।
ক্ষেতলাল সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী হক যুগান্তরকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই) বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেওয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রথম দিন থেকে আমাদের প্রশাসন মাঠে নেমেছেন। বিধি-নিষেধ অমান্য করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।