জননেত্রী সৈনিকলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন- করোনা থেকে একমাত্র আল্লাপাক মুক্তি দিতে পারেন। এ ছাড়া কোন ওষুধে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং সবাই মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করে সারা দুনিয়ার মালিক আল্লাহপাকের কাছে আমরা গুণাহ মাফ চাইতে হবে। তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে অবশ্যই তাঁর মেহেরবানী এবং করুনা দিয়ে এই রোগ থেকে রক্ষা করবেন।
রোববার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহরের সবুজবাগে নিজস্ব কার্যালয়ে শীর্ষ অনলাইন নিউজ এজেন্সি এফএনএসটুয়েন্টিফোরডটকমকে করোনা প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সেলিম আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহপাক করোনা দিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। এই পরীক্ষায় আমরা যারা ঈমানদার দাবি করি; তারা অবশ্যই তওবা করতে হবে। এতে আল্লাহপাক তাঁর দয়া ও কুদরতে পৃথিবী থেকে করোনা মহামারি রোগটি বিলুপ্ত করে দিবেন। বর্তমানে করোনা নিয়ে যে সমস্ত চিকিৎসা চলছে তা শতভাগ কার্যকরী নয়। কিন্তু আল্লাহ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই রোগ বালাই থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারবেন। তিনি বলেন, কেউ কেউ মন্তব্য করছেন যে, করোনা মহামারি মোকাবেলার কথা। এই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। রোগটি মোকাবেলা নয়। বরং আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে সবাই। আল্লাহর সাহায্য বড় সাহায্য। আল্লাহর ইচ্ছাই চূড়ান্ত।
শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে কোন রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। আল্লাহপাক আমাদেরকে এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। যা কোন দেশ কিংবা ওষুধের পক্ষে সম্ভব নয়। অতএব বাংরাদেশের সকল মসজিদে মুসল্লীরা আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা চেয়ে করোনা থেকে মুক্তির সাহায্য কামনা করতে হবে। তাহলে আমার শতভাগ বিশ্বাস আল্লাহপাক এই কঠিন রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করবেন এবং সকল সমস্যা দূর করে দিবেন। অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে এবং ধনীরা যাকাত আদায় না করলে এই জাতীয় রোগ আল্লাহপাক দেন। এজন্য বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে। সাথে সাথে যাকাত যাদের ওপর ফরজ হয়েছে; তারা যাকাত আদায় করতে হবে। তাহলে আমরা শান্তি কামনা করতে পারি।
মোহাম্মদ সেলিম সহযোগিতা প্রসঙ্গে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি লকডাউনে দলীয় নেতাকর্মীদের দরিদ্রদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে; এখনো এলাকায় মন্ত্রী-এমপি কিংবা মহানগর অথবা জেলার নেতারা দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াননি। তারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা একা কি করবেন? তিনিতো জনগণের কল্যানেই সবকিছু করছেন। দলের অন্যরা ভালো কাছে মানুষের পাশে নেই। তবে এই সময়ে সবাই পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ালে মানুষের এমন দুর্ভোগ হতোনা। এরআগে সরকারের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের জনপ্রতি ২ হাজার ৫’শত হারে মোবাইলে পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই টাকা কারা পাচ্ছেন; তা আমি অবগত নই। চট্টগ্রাম সিটি রিক্সা শ্রমিকলীগের (রেজি:২১০৩) সভাপতি হিসেবে আমি বহুদিন দায়িত্ব পালন করছি। নগরীর ৪১ওয়ার্ডে ওই সংগঠনের কমিটি রয়েছে।
এই পর্যন্ত আমার কোনো শ্রমিক সরকারি সহায়তা পায়নি। এতে আমি একজন দলের কর্মী হয়ে মর্মাহত হয়েছি। আমি চাই গরীব মানুষজনদের কাছে ওই টাকা হাতে আসুক। আমার উপর্যুক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমার সাথে সরকারের যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন (০১৫৫৩-১৩৪৬৬৭)। গত বছর আমি নিজে হালিশহর এলাকার শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। এবার সাধ্য নেই। প্রতিদিন দেখছি-আশপাশের মানুষ অভাবের তাড়নায় কাঁদছে। আমি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন চিত্র জনগণের মাঝে ভালভাবে প্রচার হোক। এজন্য সরকারী দলের সকল নেতাকর্মী জোরালোভাবে তৃণমুলের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে সরকারের জনপ্রিয়তা দ্রুত বেড়ে যাবে। আবারও এই সরকার ক্ষমতায় আসবে।