করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চলছে লকডাউনের তৃতীয় দিন। শনিবার (৩ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহলরত রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। বেশিরভাগ রাস্তাাঘাট রয়েছে ফাঁকা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় এসে যানবাহন না পেয়ে বিপাকেও পড়েছেন অনেকে। বাধ্য হয়ে রিকশা অথবা হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দেখা গেছে অনেককে। বিপাকে পরেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। লকডাউনের সময় দিনমজুর ও হতদরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ইজিবাইক ও রিকশা চালকরা। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আনাগোনা দেখা যায়। রোগী ও জরুরি পরিবহন ছাড়া অন্য যেকোনো পরিবহনকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার এবং পাগলা থানার ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহলরত রয়েছে। রোগী এবং জরুরি কাজে ব্যবহৃত পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো পরিবহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাবেরী রায় বলেন, যে সব মানুষ অতি প্রয়োজনের রাস্তায় বের হয়েছে, তাদেরকে মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে পুলিশকে সাথে নিয়ে কাজ করছি। পৌরশহরে খোলা রাখার কারণে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং বিধি নিষেধ কার্যকর করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিংও করা হচ্ছে। মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সব শ্রেণি পেশার মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন তিনি।