গত এক সপ্তাহ থেকে পশ্চিমবঙ্গের একটি হাসপাতালে দিন কাটছে জীবনমুখী গানের গায়ক কবীর সুমনের। সেখান থেকে লাইভেও এসেছেন তিনি। জানিয়েছেন, নিজের শারীরিক অবস্থার কথা। তবে রোববার ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে শারীরিক অবস্থার কথা নয় বরং ক্ষোভ ঝাড়লেন নিজের সৃষ্টি চুরি নিয়ে। জানা যায়, ‘আহীর বৈরাগী’ নামের তার একটি রাগ সুভদ্রকল্যাণ রাণা নামে এক ব্যক্তি নিজের বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা কবীর সুমনের কাছে পরিবেশনের অনুমতি শুধু নিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। এ প্রসঙ্গে কবীর সুমন ফেসবুকে লেখেন, ‘‘দীর্ঘজীবী হোক রাগসংগীত। বছর খানেকেরও আগে আমি ‘আহীর বৈরাগী’ নামে একটি রাগ তৈরি করে ফেসবুকে সেই রাগের কথা জানিয়েছিলাম। রাগরূপ জেনে এক অচেনা বাঙালি যুবক যোগাযোগ করে জানান, তিনি ঐ রাগটি বাজাতে চান। তার সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি শিখে নিয়ে আমায় তবলা তরঙ্গে বাজিয়ে শোনান। তারপর সেই বাহাদুর সুভদ্রকল্যাণ রাণা প্রচার করতে থাকেন যে ঐ রাগটি তারই সৃষ্টি! সেই সঙ্গে তিনি আরও লোক জুটিয়ে ফেসবুকে বাংলা খেয়াল সম্পর্কে আক্রমণ শুরু করেন। এমন ঘটনা তার চেয়ে নামী বঙ্গসন্তান আগেও ঘটিয়েছেন, আরও ঘটবে হয়তো। আজ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের চিকিৎসক, সেবক-সেবিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার সহযোগিতায় সেরে উঠছি কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে। আমি সেরে উঠেই বাংলা খেয়ালের সেবায় ফিরে যাবো। আমার জীবনের আসল কাজ, আমার জীবনের শেষ ব্রত। আশা করছি, সুভদ্রকল্যাণ রাণা হিংসা, হানাহানি, মিথ্যাচারে নয়, সংগীতশিক্ষায় ব্রতী থাকবেন। শিখবেন। মন ভালো রাখবেন। সংগীতসঙ্গ করবেন। সুরে তালে লয়ে থাকুন। শান্তি!’ জানা যায়, কবীর সুমন আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ। সাধারণত নিতে হচ্ছে না অক্সিজেন সাপোর্ট। উল্লেখ্য, গলায় প্রচ- ব্যথা নিয়ে কবীর সুমন ২৭ জুন রাতে পশ্চিমবঙ্গের এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন। ২৮ জুন ভোরে হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। এখনও সেখানেই আছেন তিনি।