জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মিলে প্রথম স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন জয়পুরহাট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুস সালাম।
জনা গেছে, রোববার রাত ৩ টায় ক্ষেতলাল পৌর এলাকার ধনকুড়াইল গ্রামে সুলতান কাজীর প্রথম স্ত্রী বিউটি খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে তার স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা তারা।
বিউটি খাতুন ও থানা সূত্রে জানা গেছে, আমার স্বামী সুলতান কাজী গত রমজান মাসে রহিমা তারা(৪০) নামের এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে বলে জানতে পারি। রোববার রাতে আমার ছেলে তার বৌকে নিয়ে শশুর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিল। বৃদ্ধ শাশুরিকে নিয়ে বাড়ীতে ছিলাম। ওই দিন রাত ৮টার দিকে আমার স্বামী সুলতান কাজী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ীতে আসে। এক পর্যায় ওই স্ত্রীকে নিয়ে শাশুরির ঘরে থাকবে বলে আমার ঘরথেকে কিছু জিনিষপত্র নিতে আসে। আমি বাধা দিলে ওই দুজনের যোগসাজসে আমাকে বেধরক মারপিট করে মাথার চুল কেটে বাড়ীতে তালা দিয়ে আটকে রাখে। প্রাণ ভয়ে রাত ৩টায় বাড়ীর প্রাচীরে মই লাগিয়ে পালিয়ে দেবরের বাড়ীতে যায়।সে আমাকে ভোর ৫টায় ক্ষেতলাল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সোমবার ৫জুলাই আমার বাবা মোখলেছুর রহমান বাদি হয়ে ধনকুড়াইল গ্রামের রহিম উদ্দিন কাজীর ছেলে সুলতান কাজী, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা তারা ও ক্ষেতলাল সদরের আঃ মজিদের ছেলে মোস্তফাকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে ধনকুড়াইর গ্রামে এজাহার কাজী বলেন, আমরা ওই দিন সকালে জানতে পারি সুলতান কাজী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ীতে আসায় উভয়ে ঝগড়া ঝামেলা হয়েছিল। তবে তার প্রথম স্ত্রীর মাথার চুল কটার বিষয়টি সঠিক নয়।
এ বিয়য়ে জয়পুরহাট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুস সালাম ঘটনাস্থল পরির্দশন ও ঘটনাটি তদন্ত করছি। একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ।