মণিরামপুরের সর্বত্র রাস্তায় এখন প্রেসষ্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলের দাপট বেড়েছে। প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকায় এক শ্রেণীর যুবকরা তাদের ব্যবহৃত নিজ মোটরসাইকেলে প্রেসষ্টিকার সাটিয়ে বীরদর্পে রাস্তায় পুলিশের সামনে দিয়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
জানাগেছে, কড়া লকডাউনের মধ্যে মণিরামপুর পৌর শহরে পুলিশের ঘনঘন চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এতে সাধারণ মোটরসাইকেল চালকরা চলাচলে প্রশ্নবৃদ্ধসহ বাঁধার মুখে পড়ছেন। এ কারণে এক শ্রেণীর যুবকরা অহেতুক ঘোরাফেরা করতে নিজ ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের সামনে শোকভার ও পিছনের প্লেটে প্রেসষ্টিকার সেটে নিয়েছেন।
এদিকে রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানমের সভাপতিত্বে উপজেলা হলরুমে করোনার উপর এক বিশেষ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসন ও সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ওই মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, রাস্তায় মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে চিকিৎসক, ঔষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি এবং মিডিয়া কর্মীরাই কেবল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালে ছাড় পাবেন। অন্যথায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, এমন সিদ্ধান্ত হয় ওই মিটিংয়ে।
এদিকে, অভিযোগ রয়েছে রাজনৈতিক দলের এক শ্রেণীর যুবক এবং ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে প্রেসষ্টিকার লাগিয়ে সোমবারও রাস্তায় অহরহ মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, সাংবাদিক নন, এমন ব্যক্তি ষ্টিকার লাগিয়ে চলাচল করার সময় ধরা পড়লেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।