দু’দিনে ১০জন করোনা রোগী ও ১৩টি অসহায় পরিবারের মাঝে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশু খাদ্যসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়রম্যান নাজমা খানম। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কঠোর লকডাউন পালনের ফলে অধিকাংশ সাধারন মানুষ এখন কর্মহীন ও গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। ব্যাবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ রাখায় তারাও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসহায় ও নিন্ম আয়ের অনেকেই বাড়িতে বন্দি রয়েছেন। এ সকল লোকদের খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি ওষুধ ক্রয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের একটু কষ্ট হলেও ভয়াবহ করোন পরিস্থির এহেন অবস্থা থেকে সাধারন জনগণকে রক্ষা করতে হলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। ফলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন মেনে চলাফেরা করা প্রত্যক নাগরিকের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকার।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, গত সোম ও মঙ্গলবার দইদিনে করোনা রোগী হাকোবা গ্রামের সোহেল রানা, অর্চনা দেবনাথ, মোহনপুর গ্রামের রুমা হালদার, সালমা খাতুন, জালঝাড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান রিপন, রাবেয়া খাতুন, ফাতেমা খাতুন, লাবনি পারভীন, আমিনপুর গ্রামের জয়নাল সরদার এবং অসহায় ও কর্মহীন হাকোবা গ্রামের কওছার আলী, মুজগুন্নি গ্রামের মিজানুর রহমান মায়া, জাহানারা বেগম, অন্ধ প্রতিবন্দি সূর্য্যবান বিবি, সোনালী রায়সহ কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী, সরকারি সহয়তার আটটি পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়া মঙ্গলবার তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার বাদি রোহিতা ইউপির কাশিমপুর গ্রামের মহিতুল ইসলামের ভাই মাহাবুবুল ইসলাম ব্রেন স্ট্রোকে এবং পৌরসভার জুড়ানপুর গ্রামের আবদুর রহিম করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে তাদের বাড়িতে যান এবং শোকাবহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে নাজমা খানম বলেন, আমার সাধ্যমত চেষ্টা করছি করোনায় আক্রান্ত রোগীসহ অসহায় পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, খাদ্য সামগ্রী ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এমনকি উপজেলাব্যাপী কোন করোনা রোগীর সন্ধান এবং অসহায় পরিবারের খবর পেলেই সে বাড়িতে পৌছিয়ে তাদের মনোবল বাড়ানো চেষ্টা করছি।