জেলার উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলার এক নারী আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে এনে শারীরিক ও যৌণ নির্যাতনের অভিযোগে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া দুই ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে উজিরপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হলেও সোমবার দিবাগত রাতে তা প্রকাশ পায়। পুলিশ ওই নারীকে বাদী করে মামলাটি রেকর্ড করেছে। এর আগে এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উজিরপুর মডেল থানার নবাগত কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মমিন উদ্দিন বলেন, মামলায় প্রত্যাহার হওয়া ওসি জিয়াউল আহসান, পরির্দশক (ওসি-তদন্ত) মাইনুল ইসলাম ও উজিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে অপর তিনজনের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে গঠিত তদন্ত কমিটির দেয়া রিপোর্ট অনুসারে অপর তিনজনকে শনাক্ত করে তাদেরকে ওই মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন।
মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন বলেন, ওই নারী আদালতে যেভাবে অভিযোগ করেছেন, সেই অভিযোগেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ওই নারীকেই বাদী করা হয়েছে।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওসি জিয়াউল আহসান ও নির্যাতনের অভিযোগে পরিদর্শক মাইনুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, একটি হত্যা মামলায় আসামি মিনতি বিশ্বাস ওরফে মিতু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে পুলিশ শারিরিক ও যৌণ নির্যাতন করেছে বলে আদালতের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী।