খুলনার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কোনোভাবেই যেন ঠেকানো যাচ্ছেনা খুলনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের উর্দ্ধমুখী চাপ।আর এঅঞ্চলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে
হাসপাতালগুলোতে করোনার চিকিৎসা ব্যবস্থায় নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অক্সিজেন সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে আশার কথা হলো ইতোমধ্যে অক্সিজেন সংকট হবেনা, অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণের জোরালো আশ্বাস নিয়ে এগিয়ে এসেছে এ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
এদিকে খুলনার গ্রামে গ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পিছনে জোরালো কারণ দেখিয়েছেন
বিশেষজ্ঞরা। এ অঞ্চলে ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের ৭ম দিন চলছে। খুলনার শহর গুলোসহ উপজেলাগুলোতে লকডাউনের বিধিনিষেধ মানাতে পারা যায়নি লোকদের। দ্বিতীয়তঃ এ এলাকার অনেক লোকজনের বিভিন্ন কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবাধ যাতায়াত।
গতকালের রিপোর্টেও মৃত্যুর মিছিল ও সংক্রমণের সংখ্যায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে উর্দ্ধগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। গতদিনে করোনায় খুলনায় মারা গেছে ৪০জন এবং বিভাগে মারা গেছে ১৩৮ জন এবং করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮৬৫ জন। সারা দেশে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে দ্বতীয় সর্বোচ্চ ১৬৩জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৩৯২জন।নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১১৫২৫জন। মোট শনাক্ত হয়েছে ৯৬৬৪০৬জন।নমুনা পরীক্ষার দিক দিয়ে শনাক্তের হার ৩১.৪৬ ভাগ। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ৫৪৩৩জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৮৪৪৫১৫জন। খুলনাঞ্চলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে হলে এ এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য বিধিসহ কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ শতভাগ মানা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয়তঃ এদেশের এ কঠিন ক্লান্তিলগ্নে যে করণেই হোক অবৈধভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি এদেশের ভারতমুখী চোরা কারবারী কঠিন ভাবে রোধ কল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে বলে বিজ্ঞমহলের অভমত।