করোনা সংক্রমন বিস্তার ঠেকাতে চলমান লকডাউনে কাঁচা বাজার সরিয়ে খোলা জায়গায় কেনাবেচার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তা মানা হয়নি। গাদাগাদি করে আগের মতনই কেনাবেচা চলছে বিভিন্ন হাটবাজারে।
উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বাউফলে ৪৪টি হাট বাজার রয়েছে। তালিকা ভুক্ত এ সকল বাজার ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ছোট ছোট শতাধিক বাজার রয়েছে।
সরজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ওই সকল হাট-বাজার গুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে কাঁচাবাজারের দোকান গুলো বসার কারণে ত্রেতারা ভীর করে কেনাকাটা করতে বাধ্য হচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে কালাইয়া বন্দর ও বাউফল পৌর শহরের কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায় লকডাউন ঘোষনার আগে যেখানে কাঁচা বাজার ছিল সেখানে এখন রয়েছে। ক্রেতারা গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন।
কালাইয়া বাজারের সবজি কিনতে এসেছেন মো. নাছির উদ্দিন হেলালী নামের এক ব্যক্তি বলেন, বাউফলে কঠোরভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে অথচ কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারে কোন প্রকার মনিটরিং না থাকায় স্বাস্থবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে।
শাহআলম নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, দোকানের সামনে কোন প্রকার ভীর যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য করেই আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে বেচাকেনা করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, কাচাবাজার সমুহ খোলা যায়গায় সরিয়ে নেয়ার জন্য বাজার কমিটিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা বর্ষাকালের অযুহাত দিচ্ছে, আইন মানতে গরিমসি করলে প্রয়োজনে বাজার বন্ধ করে দেয়া হবে। মোবাইল কোর্ট চলমান রয়েছে, যারা আইন মানছেনা তাদের ধরে জড়িমানা করা হচ্ছে। জন সচেতন করতে সভা করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের জন সচেতন করতে কাজ করার অনুরোধ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে”।
এদিকে উপজেলার সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল। লকডাউন মেনে চলার জন্য সড়কের মোরে মোরে পুলিশের চেষ্টপোষ্ট বসানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আনচিুর রহমান বালির নেতৃত্বে দুই ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।