পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (০৭জুলাই) উপজেলার খাদ্যগুদাম থেকে বিতরণকৃত এ চাল জন প্রতি ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিজনকে সাত থেকে সাড়ে আট কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এ সময় ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা পল্লী দারিদ্র উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী মনিরুল ইসলাম (নাসির খান) চাল পরিমাণে কম দেয়ার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। আর চাল বিতরণ করা হয় উপজেলার সদর ইউনিয়নে। চাল কম দেয়ার কারণ জনতে চাইলে মনিরুল ইসলাম (নাসির খান) জানান, আমরা সঠিক মাপে চাল দিতে বলি। তারপরেও কম দিলে আমার কি করার আছে? একটু কম বেশি হতেই পারে। ওই ইউনিয়নে নির্বাচন না হওয়ায় সেখানে প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মশিদুল হক। উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের ভুক্তভোগী মনোয়ার আলী শেখ বলেন, 'মোরে ১০ কেজি চাল দেওয়ার কতা কইয়া দেছে সাড়ে সাত কেজি। 'চাল কম দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির চালের ব্যাগ মেপে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয় জানতে ওই ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মশিদুল হকের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, যখন কম হয় তখন জানালেই ভালো হতো। আমার জানা মতে কোনো চাল কম হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, চাল পরিমাণে কম দেয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ পরিমাণে কম দিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।