দাদা-বৌদিরা, প্রণাম নিবেন। আমি চলে যাচ্ছি! আমার আদরের কন্যা কথা মনি ও স্ত্রীকে তোমারা দেখে রেখো। ওরা ভাল থাকলে আমি পরপারে ভালো থাকব" আবেগঘন এ চিরকুট লিখে খুলনার পাইকগাছায় ঋণগ্রস্ত যুবক মিলন মন্ডল (৩৫) আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশিরা বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় বাড়ীর পাশ্বে গাব গাছে ঐ যুবককে গলাঁয় রশি দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে পুলিশের খবর দেন। সে উপজেলার গড়ইখালী ইউপি'র হোগলার চক গ্রামের বল্লভ মন্ডলের ছোট ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ও নিহতের পারিবার জানান, ১শিশু কন্যা সন্তানের পিতা মিলন অভাব-অনাটনে পড়ে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দেনায় জড়িয়ে পড়েন। এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও সমিতি'র কাছ থেকে এ টাকা সুধে নেওয়া ছিল। জমি বিক্রি করে মিলন বড় অংকের এ টাকা পরিশোধ করতে চেয়ে ব্যার্থ হন। তার স্ত্রী কাকলী মন্ডল জানান, নানা কারণে স্বামী বেশ কিছুদিন ধরে টেনশনে ছিলেন। তিনি আরোও বলেন, মিলন বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত কোপা আমেরিকাফুুটবল খেলা দেখে ঘুমিয়ে পড়েন এবং বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় বাড়ীর কাছে গাব গাছে গলাঁয় রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সম্পর্কে বাইনবাড়ীয়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মনির হোসেন জানান, মিলন বহু টাকার দেনায় জর্জরিত ছিল। করোনাকালে পরিবার নিয়ে আরোও অসুবিধায় পড়েন। শেষ পর্যন্ত বড় ভাই নিরঞ্জন মন্ডল ও বৌদিদের উদ্দেশ্যে একমাত্র শিশু কন্যা ও স্ত্রীর দেখা শুনার অনুরোধ জানিয়ে নিজের পকেটে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে ওসি (অপারেশন) স্বপন কুমার রায় জানান, ধার-দেনা ও অভাব-অনাটনের টেনশনে পড়ে মিলন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর পরিবারের সকলে স্বীকার করেছেন সে কারণে মৃতদেহটি সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।