অনেক বুক ভরা আশা নিয়ে মুনাফা অর্জন করতে চেয়েছিল কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার গরুর খামারীরা।
কিন্তু খামারীরা দীর্ঘ লকডাউনের কারণে কোরবানীর হাটে পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
করোনার ভাইরাসের সংক্রমনের কারণে গেল বছরেও ব্যবসা করতে পারেনি স্থানীয় গরু খামারী ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস জানায়, এ উপজেলায় ছোট বড় ৭৩১ টি খামার রয়েছে। এসব খামারে দেশীয়ও উন্নত জাতের গাভী ও ষাঁড় গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।
পৌর এলাকার ঢেকিয়া গ্রামের খামারী নাসির উদ্দিন চুন্নু জানান, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তুত করেছি।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের খামারী মেহেররুন্নেছা জানান, গরু লালন পালন করতে ধারদেনা করে অর্থ ব্যয় করেছি। করোনার কারণে গেল বছর আমার লোকসান গুনতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, পৌর এলাকার মাঠকর্মীর অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ খামারী হিসেবে প্রনোদনা পায়নি।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া জানান, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গরু বিক্রয় নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. আবদুল মান্নান জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে খামারীদেরকে অনলাইনে পশু বেচাকেনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।