শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটকন চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক উন্নতির মুখ দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। একসময় জঙ্গলের ফল হিসেবে পরিচিত হলেও এ লটকন ফলে পুষ্টিগুণ চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাই হাট বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও বিক্রিতেও প্রচুর পরিমাণ লাভজনক হওয়ায় উপজেলার নলকুড়া ও কাংশা ইউনিয়নে লটকন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মো. হামিদুল্লাহ জানান, ২০০৮ সালে তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে চাচার বাড়ি থেকে শখের বসে ১২০টি লটকন চারাগাছ এনে তার বাগানে রোপণ করেন। গাছ রোপণের ৮ বছর পর ২০১৯ সাল থেকে বাগানের ৩৫টি গাছ ফল দিতে শুরু করে। সেই থেকে প্রতিবছর ৫০-৬০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলেও এবার ৭২ হাজার টাকা পাইকারী দরে বিক্রি করতে পেরে সন্তুষ্ট তিনি।এছাড়াও তার বড় ভাই মো. আলাউদ্দিন ১০ বছর আগে তার বাগানে লটকন চাষ শুরু করেন। দুইশটি গাছ লাগালেও বাগানের ৬০টি গাছ গত ৫ বছর যাবৎ লটকন ফল দিচ্ছে। এরপর থেকে তিনি প্রত্যক বছরই বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের কাছে লটকন বিক্রি করেন । তিনিও এ বছর ৬০ হাজার টাকার লটকন বিক্রি করেছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন কবীর জানান, উপজেলার কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ২০টি লটকন বাগান আছে। লটকন চাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। লটকন দেশী এবং পুষ্টিকর ফল হওয়ায় কৃষি বিভাগ থেকে লটকন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। লটকন চাষে কোন প্রকার বাড়তি খরচ না থাকায় আশানুরূপ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।