খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইয়াছিন জেলার শ্রেষ্ট ইউএনও হিসেবে শুদ্ধাচার চর্চায় পুরস্কার পেয়েছেন। ৯জুলাই শুক্রবার খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২০২১ প্রদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: কামরুল হাসান,এনডিসি। সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
পরে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: কামরুল হাসান পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সাইদ মোমেন মজুমদার, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে মোঃ সাজ্জাদ হোসনে, সার্টিফিকেট সহকারী অমর জ্যোতি চাকমা শুদ্ধাচার পুরস্কার গ্রহণ করেন। কর্মদক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা ও জনসেবামূলক উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে এমন ১৯টি ক্রায়টেরিয়ার উপর যাচাই-বাছাই করে এ শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়।
উল্লেখ্য ২০২১সালের ১৫জুলাই খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং ২৩জুলাই বৃহস্পতিবার মো: ইয়াছিন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় যোগদান করেন। মো: ইয়াছিন চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার, সুন্দরপুর ইউনিয়নে নিজ বাড়ি। তিনি নোয়খালী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। মো: ইয়াছিন শিক্ষা জীবনে ফটিকছড়ি করোনেশন আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ৩৩ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের জনক।
ইউএনও মো: ইয়াছিন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় যোগদানের পর সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, উদ্ভাবন, ই-ফাইলিং, সোশ্যাাল মিডিয়ার ব্যবহার, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগীতা ও শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক লক্ষ্যমাত্র অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার একজন মানুষও গৃহহীণ থাকবে না এমন কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে ৩২টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৭০০টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ প্রশংসার দাবির বিবেচনায় এ পুরস্কার বলেও সুধীজনেরা মনে করেন।