চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা জীবননগর এ উপজেলাতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের। যেখানে করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তিদের পাশে থাকতে ভয় পাচ্ছেন নিজের স্ত্রী,সস্তান,মা,বাবা। সেখানে জীবনের ঝুকি নিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তিরত করোনায় আক্রান্ত রোগীদের দিন রাত সেবা করে যাচ্ছেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন জীবননগর বন্ধু ফাউন্ডেশ(জে,বি,এফ)এর একঝাক তরুন তরুনী।শুধু তাই নয় এই সংগঠনের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের জন্য বিনামুল্যে হ্যালো জে,বি,এফ নামের একটি হটলাইন চালু করেছে। যেখানে ফোন দিলেই রোগীর বাড়িতে এই সংগঠনের সদস্যরা সেচ্ছাশ্রমে অক্সিজেন নিয়ে হাজির হচ্ছেন।জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তিরত করোনায় আক্রান্ত রোগী কালু মিয়া বলেন,আমি গত ৪দিন হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছি ভর্তি হওয়ার পর থেকে জীবননগর বন্ধু ফাউন্ডেশনের ছেলে মেয়েরা আমাকে সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছে। সময় মত অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন লেবেল ঠিক আছে কি না তা দেখছে ,অক্সিজেন লাগলে তারা ব্যবস্থা করছে।তারা করোনা রোগীদের যে ভাবে সেবা করছে তা একটা মহতী কাজ সকল যুব সমাজ যদি এই সংগঠনের সদস্যদের মত মানুষের পাশে দাড়াত তা হলে অনেক ভালো হত।জীবননগর বন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্য সাদিয়া ইসলাম মাহি বলেন,এই মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে পারছি এটাই আমাদের পাওয়া। আমরা কোন অর্থের জন্য সেবা করছি না। এই মহামারীর সময় মানুষের পাশে থাকতে পারছি এবং তাদের খেদমত করতে পারছি এটাই পাওয়া।আর কিছু চাওয়া আমাদের নেই। তা ছাড়া আমাদের সংগঠনের উদ্যেশ্য মানুষের পাশে থাকা এবং তাদের সেবা করা সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।জীবননগর বন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ বলেন,এই করোনা কালীন সময়ে আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জীবননগর উপজেলায় সেচ্ছাশ্রমে সাধারন মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতনতা করাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে চলেছি।জীবননগরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।জীবননগর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত যে সমস্থ রোগী আছে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা জীবনের ঝুকি নিয়ে তাদের সেবা করে চলেছে এবং যাদের অক্্িরজেন প্রয়োজন সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাদের সেচ্ছাসেবক টীম তাদের বাড়িতে যেয়ে অক্্িরজেন পৌছে দিচ্ছে।আমরা সাধারন মানুষের পাশে থেকে আরও উন্নয়মুলক কাজ করতে চাই কিন্তু সে অনুযায়ী আমাদের কোন অর্থ নাই।আমরা যদি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেতাম তা হলে সমাজে আরও উন্নয়মুলক কাজ করতে পারতাম এবং সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সেবা করতে পারতাম।জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্েরর আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু বলেন, সেচ্ছাসেবী সংগঠন জীবননগর বন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সেচ্ছাশ্রমে এবং জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা জীবননগর হাসপাতালে ভর্তিরত করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে থেকে তাদের সেবা করে চলেছে এটা একটি প্রশংসনীয় কাজ। যেখানে নিজের সন্তানরা পাশ থেকে চলে যাচ্ছে সেখানে এই সংগঠনের সদস্যরা নিরালশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।এই সংগঠনের সদস্যরা যে ভাবে মানুষের পাশে থেকে সেবা করছে তাদের কোন তুলনা হয় না।এই সংগঠনের সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা করায় আমরা অনেক সহজে মানুষকে চিকিৎসা দিতে পারছি।