কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ও বলিয়াদী ইউনিয়নের সিলিমের কান্দি নদী তীরবর্তী ২ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার গ্রাম বাসী যুগ যুগ ধরে এলাকা বাসীদের থেকে চাঁদা উঠিয়ে এপাড় ওপাড় যাওয়ার জন্য প্রতি বছর বাশেঁর সাকু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পাড়া পাড় হতে হয়। তাদেরকে কেউ দেখে না। দেখলেও আবার জায়গা সংকীণতা অজুহাত দেখিয়ে চলে যান। দুভোর্গের মধ্যে তাদের মুখের মধ্যে হাঁসির কোন কমতি নেই। তারা কেউ কেউ বলেন, জন্মেছি দুঃখ নিয়ে, আমাদের ভয় আবার কিসের। জনপ্রতিনিধিরা তো আমাদেরকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। রোববার সরজমিন গেলে দুই গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে ডালিম মিয়া, শাদিন মিয়া, খুর্শিদ মিয়া, হুমায়ুন কবির সহ অসংখ্য গ্রামবাসী বলেন, এবছরও এলজিইডির পক্ষ থেকে এসেছিল পরিদর্শনে। তারা বলেন, কয়েক হাজার মানুষের জন্য অন্তত কোটি কোটি টাকা ব্রিজের জন্য খরচ হবে। এরপর থেকে গ্রাম বাসীরা এখন নিরাশ হয়ে পড়েছেন। তারা নিজ উদ্যোগে বাশেঁর সাকু দিয়ে গ্রাম বাসীদের কাছ থেকে চাঁদা উঠিয়ে এখন এ বাশেঁর সাকুর উপর দিয়ে চলা ফেরা করেন। তারা কেউ কেউ বলেন, একটি লোক রাখা হয়েছে এপাড় ওপাড় বাশেঁর সাকু দিয়ে পাড় হলে পাঁচ টাকা ভাড়া দিতে হয়। পাহারারত কাজের লোককে প্রতি দিন ৩৫০-৪০০ টাকা মাহিনা দিতে হয়। বাদ-বাকী টাকা কোথায় যায় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। দিঘীরপাড়া ইউয়িনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান এ প্রতিনিধিকে বলেন, দুই ইউনিয়নের হাজার লোক প্রতি দিন চলা ফেরা করেন। তিনি বলেন, মানুষ আর কত দিন দূভোর্গ পোহাবে। তিনি আরও বলেন, বাশেঁর সাঁকু দিয়ে মানুষ পাড়া পাড়ে যে বাদ-বাকী টাকা থাকে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো যাক বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারি ভাবে ব্রিজ হলে এই দুই ইউনিয়নের লোক জনের দুভোর্গের নিরসন হবে বলে উল্লেখ করেন।