রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন এক যুবক।
তাঁর নাম আনিসুর রহমান। পেশায় শিক্ষক আনিসুর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মাদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম আলাউদ্দিন মল্লিক। তিনি সুনামগঞ্জে একটি উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগের অনুলিপি পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারি পুলিশ সুার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা থাার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানকে দেওয়া হয়।
ভূক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাঁর সঙ্গে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর মৌরাট ইউনিয়নের চরহরিণাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আজিজ প্রামানিকের মেয়ের (জান্নাতুল ফেরদৌস) সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। মেয়েটির সঙ্গে একটি ছেলের পরকিয়া ছিল। আনিসুরকে পারিবারিক ভাবে তালাকের নোটিশ দেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর (আনিসুর) সাবেক শুশ^র আজিজ প্রামাণিক তাকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ৯ মার্চ তাঁর বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়। তিনি আহত অবস্থায় পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এরপর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি দুইবার পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেন। এছাড়াও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। সম্প্রতি আবদুল আজিজ প্রামাণিক তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভ’গছেন।
আনিসুর রহমান অভিযোগ করেন, আমাকে তালাক দেওয়ার সময় আমার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। পরে তাকে পাংশা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত আবদুল আজিজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি রং নম্বর বলে সংযোগ কেটে দেন।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদনপত্রটি আমি দেখেছি। নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আবেদনপত্রটি পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান বলেন, আমি এখনো আবেদনপত্রটি হাতে পাইনি। আবেদনপত্রটি হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।