বাগেরহাটের চিতলমারীতে গ্রামাঞ্চলে ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে জ¦র, সর্দি-কাশির প্রকোপ। এতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও চিকিৎসকদের কাছে বাড়ছে রোগীর ভিড়। এ ছাড়া অনেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে বসে নিজেরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ অবস্থায় ব্যাপাক হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে নানা বয়সী লোকজনের জ¦র, সর্দি ও কাশি দেখা দিয়েছে।কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেড গুলো একে বারেই ফাঁকা দেখা গেছে। গতকাল ১০জুলাই ফাঁকাবেডের ছবি তুলতে গেলে নাম প্রকাশ না করা শতে দুই কর্মচারী বাঁধা প্রদান করে বলেন ছবি তুলতে নিষেধ করেছেন স্যার। এদিকে উপজেলার হাটবাজারে গড়ে ওঠা ফার্মেসির দোকান গুলোতে প্যারাসিটামল ও এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের চাহিদা দেখা দিয়েছে। জ¦রে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অনেকে গোপন রেখে পারিবারিক ভাবে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ সেবন করছেন। করোনা আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করতে চাননা তারা। এতে করোনা সংক্রমণ বহুগুণে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় চিকিৎসক সুখময় ঘরামী জানান, প্রতিদিনই জ¦র, সর্দি-কাশি নিয়ে অসংখ্য রোগীরা ভিড় করছেন। তবে অনেকের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা গেলেও তারা পরিক্ষা না করিয়ে বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর জন্য করোনার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: মামুন হাসান জানান, বর্তমান জ¦র ও সর্দি-কাশি জাতীয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যারা এই জাতীয় সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ঘরে থাকা উচিত। এ ছাড়া পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এ সময় তরল জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ফলমুল খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পরমর্শ দেন তিনি।