রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ কয়েকটি মামলায় পলাতক ছিলেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর পাকশী এলাকায় রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হাতে গ্রেপ্তার হয়। বর্তমানে তিনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এই মেয়র মুক্তার আলী গত দুই মেয়াদে শতাধিক মানুষকে নিজে জনসম্মুখে মারধর এবং অপমান করেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন খোদ অনেক আওয়ামী লীগ নেতা এমনকি নেত্রীও। কিন্তু মুক্তারের ভয়ে এতদিন কেউ কথা বলেন নি। আর বেপরোয়া এই মুক্তারের ক্যাডার বাহিনীর ছোবল থেকে রক্ষা পান নি গণমাধ্যম কর্মীরাও। তবে বর্তমানে মুক্তার গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন সেসব ভিকটিমসহ এলাকাবাসী। অনুসন্ধানকালে বেরিয়ে আসছে বেপরোয়া এই মুক্তারের ভয়াবহ অনেক তথ্য।
জানা গেছে, মেয়র মুক্তার আলী আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি দলীয় মনোনয়নেই মেয়র হয়েছিলেন। সে সময় তিনি যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর মেয়র হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনার দায়ে গত পৌর নির্বাচনে তিনি নৌকার মাঝি হওয়ার যোগ্যতা হারিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোট করেছেন। আর নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও জয়লাভ করেছেন। তবে এটি ব্যাপক বির্তকিত বিজয় বলেও শুরু থেকেই রয়েছে অনেক গুঞ্জন। কিন্তু তিনি এতটাই প্রভাবশালী যে স্থানীয় প্রশাসনও সে সময় তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন নি। তবে এখন গ্রেপ্তারের পর মুক্তার আলীর শত শত কু-কর্মের তথ্য বেরিয়ে আসছে।
সুত্র মতে, এই মুক্তার আলীর কুখ্যাতি নাম অর্জনের পেছনে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকা- পরিচালনার জন্য নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী তৈরি করা। যে বাহিনীর মাধ্যমে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর এসব বিতর্কিত কর্মকা- পরিহারের লক্ষ্যে পরামর্শমূলক সমালোচনাকারীদেরকে মেয়র মুক্তারের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এক্ষেত্রে সমালোচনাকারীগণ নিজ দলীয় নেতা-কর্মী হলেও কোন ছাড় দেন না মুক্তার।
অভিযোগ রয়েছে, সমালোচকগণ নিজ দলীয় নেতা-কর্মী হলে ভয়ভীতি দেখিয়েই তিনি ক্ষান্ত হন না বরং তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করা হয়। আর তুচ্ছ কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না করিয়ে নিত্যদিনের খরচের যোগান হিসেবে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য সেটিকে ইস্যু বানিয়ে বড় জটলা সৃষ্টি করা ছিল তার পেশা। এক্ষেত্রেও দলীয় কর্মীসহ সাধারণ মানুষের প্রতি তিনি একই ভুমিকা পালন করে থাকেন। আর চলতি পথে সৃষ্ট তুচ্ছ কারণে সাধারণ মানুষকে মারপিট ও নির্যাতন করা মেয়র মুক্তারের নিত্য ঘটনা বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। এরইমধ্যে করোনাকালে হতদরিদ্র দুই ত্রাণপ্রার্থীকে মারপিট করেই নাকি আরও আলোচনায় আসেন তিনি। কিন্তু অজ্ঞাত খুঁটির জোরে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি মেয়র মুক্তারের হাতে মার খেয়ে পৌরসভার এক কর্মচারীর চারটি দাঁত ভেঙে যায়। মেয়রের সামনে ফোকলা দাঁত নিয়ে কথা বলা যাবে না, এই ভয়ে তিনি চারটি দাঁতই বাঁধিয়ে নিয়েছেন। তবু কারও কাছে অভিযোগ করেননি। এই কর্মচারীর অপরাধ ছিল, তিনি বাজারের একটি ব্যাগ ধরে ছিলেন। যে ব্যাগে মেয়র মাছ ঢালছিলেন। সে সময় হঠাৎ ব্যাগের হাতল ছিঁড়ে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে থাকা লোহার রড দিয়ে মেয়র তাকে মারপিট করেন। সে কর্মচারী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এ বিষয়ে ওই কর্মচারীরর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বার বার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে মেয়রের বিরুদ্ধে সকলেই মুখ খোলা শুরু করলেও এই কর্মচারী বলছেন, তাঁর কোনো অভিযোগ নেই।
তবে কথোপকথনের একপর্যায়ে এ কর্মচারী বলেন, মেয়র মুক্তারকে তো চেনেন না, তাই বুঝতেও পারছেন না। সে জামিনে বের হলেই বুঝতে পারবেন। যারা এখন তার বিরুদ্ধে কথা বলছে, তারা তখন বুঝবে। শুধু এতটুকুই বলছি, যারা মেয়র মুক্তারকে চেনেনা তারা এখনও মায়ের গর্ভে আছে।
এ পৌরসভার গোচর গ্রামের এনামুল হক ওরফে চেরু বলেন, তার ভাতিজা লেলিন কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। লেলিন ঈশ্বরদী থেকে ভটভটিতে করে মাল নিয়ে ফিরছিলেন। সে সময় মেয়র মুক্তারও সেই রাস্তা দিয়ে আসছিলেন। সে সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের হেডলাইটের আলো ভটভটি চালককের চোখে পড়ায় সাইড দিতে দেরি হয়েছিল। এরপর ভটভটির চালককে মেয়র মুক্তার মারপিট শুরু করলে এমন অন্যায়ভাবে মারার প্রতিবাদ করেছিল লেলিন। তখন রেগে গিয়ে মুক্তার তাকে এত পরিমানে মেরেছিলেন যে ভাতিজা লেলিন রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মেয়রের হুমকির কারণে তারা আর থানায় যাননি। ফলে অভিযোগটিও মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। ওই ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর অসুস্থ ভাতিজা মারা যান।
এই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মর্জিনা বেগমের অভিযোগ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অপমান ও লাঞ্ছিত করে মেয়র মুক্তার তাকে পৌর কার্যালয় থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এছাড়াও বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের এক যুবককে মারধরের অভিযোগে এই মেয়রের বিরুদ্ধে উপজেলার তেঁথুলিয়া বাজারের পাশে মানববন্ধন হয়েছিল। এরপরে সালিসে মেয়র মুক্তার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন।
সুত্র মতে, আড়ানী পৌরসভার প্রথম মেয়র ছিলেন প্রয়াত মিজানুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, তার পরিবারের সদস্যদেরও এই মেয়র লাঞ্ছিত করেছেন। এছাড়াও এলাকার রিকশা ও ভ্যানওয়ালা থেকে শুরু করে পৌরসভার কাউন্সিলর পর্যন্ত তার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। কিন্তু মেয়রের ভয়ে তারা কেউ কোথাও অভিযোগ করেন নি।
এদিকে বেপরোয়া মেয়র মুক্তারের ক্যাডার বাহিনীর ছোবল থেকে রক্ষা পান নি গণমাধ্যম কর্মীরাও। গত পৌর নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে রাজশাহী থেকে আড়ানীতে গিয়েছিলেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান রুবেল ও দীপ্ত টিভির ইসলাম উদ্দিন। সে সময় পেশাগত দায়িত্বপালনকালে মুক্তারের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ফুটেজ ধারণকালে তাদের ওপর হামলা করে মুক্তার বাহিনীর ক্যাডাররা। এ সময় পিটিয়ে তাদের আহত করা হয়। একই সময়ে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুনসহ নারী কর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ বিষয়ে হামলার শিকার জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন প্রতিবেদককে জানান, ওই ঘটনার দিন নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণাকাজ শুরু করতে গেলে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে বাঁধা দেয়। এরপর তাদের কথা না শুনে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া শুরু করলে পরিকল্পিতভাবে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তারের ক্যাডার বাহিনী চারিদিক থেকে ঘিরে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে লাঞ্চিত করা শুরু করে। তখন সেখানে পূর্ব থেকে উপস্থিত টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে লাগলে তাদের ওপরেও হামলা করা হয়। ওই হামলায় সাংবাদিক রুবেলসহ আরেকজনের মোবাইল ও ক্যামেরা ভেঙ্গে যায়। তারাও আহত হয়। তখন সকলের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এসে আমাদের উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। উল্টো সে সময় ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে আমাকে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী ফোন করে ভয় ভীতি দেখান। আর নির্বাচনের (১৬ জানুয়ারি) আগে আড়ানী পৌর এলাকায় নৌকার পক্ষে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এসব বিষয়ে অভিযোগ করেও তখন কোন কাজ হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র হওয়ার পর থেকে মুক্তার আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একসময়ের গরুর হাটের টোল আদায়কারী এই মুক্তার মেয়র হওয়ার পর সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট করে বানিয়েছেন আলিশান বাড়ি। প্রশাসনের সাথে যোগসাজস করে তিনি ভয়ংকর অরাজকতা পরিস্থিতি ও একের পর এক অপকর্মে জড়িয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল পৌরসভার মাসিক সভায় ১২ জন কাউন্সিলর মুক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সরকারি সহায়তা কর্মসূচির বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগ তোলেন। এ সময় মুক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে এক কাউন্সিলরকে মারপিট করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলররা একযোগে মুক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন। অথচ সে ঘটনাতেও প্রশাসন ছিল নির্বিকার।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, মেয়র মুক্তার গত দুই মেয়াদে শতাধিক মানুষকে লাঞ্ছিত করেছেন, মারধর করেছেন, কিন্তু তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। এই প্রথম কলেজ শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মজনু ও তার পরিবারকে মারপিট এবং লাঞ্চিত করার ঘটনায় গত মঙ্গলবার তাৎক্ষণিকভাবে থানায় মামলা করেন। যে মামলায় পুলিশ মেয়রকে ধরার জন্য তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন। তবে সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পেছনের গোপন দরজা দিয়ে পালিয়ে যান মেয়র মুক্তার। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত মেয়র মুক্তারের বাড়িতে পরিচালিত অভিযানে উদ্ধার হয় অবৈধ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য। যার মধ্যে ছিল একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক, একটি এয়ার রাইফেল, শর্ট গানের ২৬ রাউন্ড গুলি, পিস্তলের ৪টি ম্যাগজিন ও ১৭ রাউন্ড গুলি, ৪টি গুলির খোসা, ১০ গ্রাম গাঁজা, সাত পুরিয়া হেরোইন, ২০ পিস ইয়াবা, নগদ ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং মেয়রের স্বাক্ষরিত ১৮ লাখ টাকার দুটি ব্যাংক চেক। এ সময় মেয়র পতœী জেসমিন বেগম, মেয়রের দুই ভাতিজা সোহান (২৫) ও শান্তকে (২৩) আটক করা হয়েছে। তারা বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
এর পর গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর পাকশী এলাকা থেকে মেয়র মুক্তারকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল। এরপর মেয়রের বাড়িতে অভিযানকালে ফের মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ সোয়া লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শুক্রবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়র মুক্তারকে বিশেষ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪ দিনের জন্য মুঞ্জুর করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম প্রতিবেদককে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এএসপি (ডিএসবি) রুবেল আহমেদ এবং ডিবি ইন্সপেক্টর আতিকের নেতৃত্বে পাকশীতে অভিযান চালিয়ে তার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে মেয়রের শ্যালক রাজনসহ গ্রেপ্তার হয়। এরপর তাদের নিয়ে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিয়াদাপাড়া মহল্লায় অবস্থিত মেয়রের নিজ বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে তার দেখানো মতে ২য় দফায় চার বোতল ফেন্সিডিল, একশত গ্রাম গাঁজা, নগদ এক লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং দেশীয় ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। আর গ্রেপ্তারকৃত রাজন মেয়রের সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত বলেও জানান জেলা পুলিশের মুখপাত্র।
জিজ্ঞাসাবাদে নতুনর কোন তথ্য পাওয়া গেছে কী না জানতে চাইলে বলেন, তথ্য বের হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছেনা।