বড়াইগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে মহিলাসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, বাঁকিতে পণ্য না দেয়ার জেরে আরো একজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার উপজেলার লক্ষীকোল রাজ্জাক মোড় ও চান্দাই ইউনিয়নের লেদ মোড়ে এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষীকোল গ্রামের ইছা সরদারের সঙ্গে প্রতিবেশি শামীম সরদারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। তার জের ধরে রোববার সকালে শামীমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইছা সরদারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। পরে খবর পেয়ে ইছা সরদারের স্বজনরা এগিয়ে এলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষে মহিলাসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন-ইছা সরদারের ছেলে আলেক সরদার (৪০), তার স্ত্রী সুরমা খাতুন (৩৫), ভাতিজা জীবন সরদার (২২), চাচা নান্নু সরদার (২৫) ও ভাতিজি জামাই বাবর আলী (৪০), শামীম সরদার (৫০), তার স্ত্রী শরীফা বেগম (৪০), মেয়ে মুন্নী (২০) ও মেয়ে জামাই প্রিয় আহমেদ (২৫)। অপরদিকে, দুপুরে চান্দাই ইউনিয়নের লেদ মোড়ে মাজদার রহমানের স্ত্রী বাঁকিতে পণ্য চাইলে দোকানদার আব্দুল্লাহ তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। খবর পেয়ে মাজদার মন্ডল সেখানে গিয়ে গালাগালি করলে আব্দুল্লাহ ও তার ভাইয়েরা মাজদারকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের বড়াইগ্রাম হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, শামীমের স্বজনরা ইছা সরদার পক্ষের আহতদের পুনরায় হামলার হুমকি দিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বড়াইগ্রাম হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে শামিম সরদার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাল্কা সংঘাত হয়েছে, তবে বাড়িঘরে হামলা করা হয়নি। অপরদিকে, মাজদারের ভাই হাসিনুর ইসলাম বলেন, বাঁকি না দেয়ায় মাজদার মন্ডল অম্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করলে আমার ভাই-ভাতিজাদের সঙ্গে তার ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তেমন বড় কিছু নয়।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম বলেন, এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া হাসপাতাল থেকে আহতদেরকে হুমকির মুখে বের করে দেয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই।