প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে কচুয়া বাসীকে রক্ষা করার জন্য ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান্দার ও জনসাধারন মাক্স না পড়ার অপরাধে এবং মাক্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে কচুয়ায় কঠোর লকডাউনের ১৩ তম দিনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়। কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার ও তালেশ্বর বাজারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করেন।
কঠোর লকডাউনের ১৩ তম দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল এর সাথে কচুয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম ও উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও বাজারে বাজারে তারা পুলিশ বাহিনীর দ্বারা টহল জোরদার করেছেন ও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে কাউকে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল কচুয়া বাজার সহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও দোকানের সামনে মাক্স বিতরন করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউনের ফলে দুরপাল্লার পরিবহন সহ সব গনপরিহন বন্ধ রয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায়, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে লোকজনের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। কচুয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলাম সহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কচুয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারন জনসাধারনের। জরুরী সেবা প্রদান কারী পরিবহনগুলো ছাড়া লকডাউনের ১৩ তম দিনে উপজেলার সব ধরনের যাত্রীবাহী গনপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সকালের দিকে কিছু মুদি দোকান সীমিত আকারে কাঁচা মালের দোকান খোলা দেখা গেলে ও তা বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীনাত মহল প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের ১৩ তম দিনে কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের তালেশ্বর বাজার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্র্ডে গিয়ে কর্মহীন, হতদরিদ্র, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক ও ছিন্নমুল, প্রতিবন্দী মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার কুন্ডু,আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম শোকরানা আজাদ হোসেন বালী, মঘিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড: পঙ্কজ কান্তি অধিকারী সহ এলাকার রাজনৈতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।