বিগত বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া জামালপুরের সরিষাবাড়ীর শিশুয়া বাঘমারা ব্রিজের পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়ক পরিপূর্ণ কাজ না হওয়ায় এবারও হুমকির মুখে রয়েছে ব্রিজ ও রাস্তা। জরুরি ভিত্তিতে সংযোগ সড়কের কাজ করার দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আরামনগর বাজার প্রধান সড়ক থেকে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও সরাসরি মাদারগঞ্জের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। যে সড়কটিতে ঝারকাটা ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত শিশুয়া বাঘমারা ব্রিজ। ব্রিজের পশ্চিম পাশের সড়কটি বিগত বন্যায় ভেঙ্গে গিয়ে সাতপোয়া ইউনিয়নসহ মাদারগঞ্জ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের প্রায় ৪০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের সরিষাবাড়ীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই থেকে ঐ সব এলাকার মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসলাদি সরিষাবাড়ীর বাজারে নিয়ে আসতে দূর্ভোগে পড়ে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিক একটি বরাদ্দ দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলেও এবারের বন্যায় রাস্তা ও ব্রিজ দুটুই হুমকির মুখে রয়েছে। ব্রিজের সাথে রাস্তাটি মাটি দ্বারা কিছু অংশ ভরাট হলেও যানবাহন চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মালভর্তি একটি অটোবাইক বা ভ্যান ব্রিজের উপরে উঠা-নামা করতে কয়েকজন লোক মিলে ধাক্কা দিয়ে উঠাতে হয়। অন্যান্য সকল প্রকার ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরিষাবাড়ীর বৃহৎ আরামনগর বাজারের দিন ঐ ব্রিজের দুই পাশে সার্বক্ষণিক জটলা লেগেই থাকে।
স্থানীয় ব্যক্তি সামু ও সোজল উদ্দিন সহ অনেকেই জানান, গত বন্যায় ব্রিজের পশ্চিম পাশের রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে এলাকাবাসী স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় বাশের সাঁকো নির্মাণ করে ব্রিজের সাথে সংযোগ স্থাপন করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। আদ্রা ব্রিজের ঠিকাদারদের মালামাল আনা নেওয়ার জন্য তারাও তাদের অর্থ দিয়ে মাটি ভরাট করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে। বর্তমানে রাস্তাটি হুকমির মুখে বন্যা আসলেই আবারও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, মন্ত্রী মহোদয় এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অনেক কর্মকর্তা ভাঙ্গা স্থান পরিদর্শন করেছেন। এলজিইডি’র ১০লাখ টাকা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করেছেন শুনতে পেরেছি, তার কোন ডকুমেন্টস আমার কাছে নেই। আমার জানা মতে, এডিপি থেকে ২লক্ষ টাকার জিও ব্যাগ ভর্তি বালি সহ কয়েক ধাপে ৯ হাজার বস্তা বালি ফেলা হয়েছে। এসব দিয়ে তেমন কোন কাজে আসবে না। বন্যা আসার আগে জরুরি ভিত্তিতে ঐ ব্রিজের সাথে সংযোগ একটি বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হলে সংঙ্কা কেটে যাবে ।
উপজেলা প্রকৌশলী রকিবুল হাসান বলেন, গত বন্যায় ব্রিজের সংযোগ রাস্তা ভাঙ্গার পর গতঅর্থ বছরে ৮লাখ টাকা এবং এডিপি থেকে ২লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে বালি ফেলা হয়েছে। ব্রিজটি হুমকির মুখে, জনসাধারণের চলাচলের জন্য আপাZত সাঁকোর ব্যবস্থা করা হবে। মাটি পরিক্ষা করা হয়েছে। শুকনো মৌসুমে ব্রিজের একটি স্প্যান বর্ধিত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।