কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের জারইতলা গ্রামের রাজমিস্ত্রী জুয়েল মিয়ার এইচএসসি পড়-য়া স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) কে হত্যার দায়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে। এ হত্যা মামলার ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ আসামীদের মধ্যে নিহত জেসমিনের স্বামী জুয়েল মিয়া (৩৫), খলিল মিয়া (৪৫), সোহেল মিয়া (৪০) কে পুলিশ থানায় আটক করেছে। ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য পুলিশ বিচারিক আদালতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশসূত্রে জানাগেছে গত পরশুদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জারইতলা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে জেসমিন আক্তারকে কে বা কাহারা গলার মধ্যে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। হত্যা মামলার বাদী দামপাড়া গ্রামের সাহেব হাটির উত্তরপাড়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, তার কন্যা নিহত জেসমিন আক্তারকে দুই বছর আগে তার জামাতা জুয়েল মিয়ার সঙ্গে বিবাহ দেন। বিবাহ দেওয়ার এক বছর পর তিনি তার জামাতাকে চল্লিশ হাজার টাকা অন্যত্র থেকে এনে দেন। তিনি ঐ টাকা তার মেয়ের কাছে চাওয়াতে স্বামী ও তার শুশুর বাড়ীর লোকজন তার কন্যা জেসমিনের উপর মানসিক নির্যাতন চালায়। কিছুদিন পর আবারও তার জামাতা পঞ্চাশ হাজার টাকা কর্জ চায়। ঐ টাকা না দেওয়ার কারণে তার মেয়েকে জামাতা হত্যা করেছে বলে তিনি দাবী করেন। নিকলী থানার ওসি শামসুল আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত জেসমিন আক্তারের স্বামীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।